রবিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নানা শটে কেদার
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রবিবারে প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর ক্রিকেট মহল বলছে, সুযোগের সদ্ব্যবহার কী ভাবে করতে হয় কেদার যাদবের থেকে শেখা উচিত। ২০১৫ তে জিম্বাবোয়েতে একটি সেঞ্চুরি। এরপর দলে সে ভাবে সুযোগ পাননি তিনি। ধোনি-যুবরাজদের বিদায়ের পর প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ড বনাম বিরাট কোহালির। সীমিত ওভারে প্রথম অধিনায়কত্ব পেয়ে বিরাট অগ্নিপরীক্ষায় ছিলেন কোহালি। ক্যাপ্টেন কোহালিকে ওয়ান ডেতে প্রথম জয় এনে দিতে এবং নিজেকে প্রমাণ করতে ঘরের মাঠে এতবড় সুযোগ হাতছাড়া হতে দেননি কেদার যাদব।
বিরাটের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ১২০ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস খেললেন। কিন্তু সেই ইনিংস ছিল কোহালির ১২২ রানের থেকে অনেকখানি আলাদা। ম্যাচের শেষে বিরাট কোহালি নিজেই স্বীকার করে নেন, কেদার যাদব ওই ইনিংস না খেললে কখনওই ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১২টি চার এবং ৪টি ছয় দিয়ে সাজানো তাঁর এই ইনিংসে খেলেছিলেন কিছু অভিনব শট। হাফ কক পুল, প্যাডেল সুইপ কিংবা ব্যাকফুটে দাঁড়িয়ে বোলারের মাথার উপর দিয়ে ছয়। এমনই সব কঠিন শট ছিল সেদিনের ম্যাচে। তাঁর শটের এই নতুনত্বে মুগ্ধ অধিনায়ক কোহালিও। তিনি বলেন, “এই সব শট নিয়ে কেদারকে জিজ্ঞাসা করলে, সে বলেছিল এটা তার সহজাত। কিন্তু আমি বলব এটা কেদারের প্রতিভা।”
দেখুন ভিডিও তাঁর অভিনব শট নিয়ে কেদার যাদব কী বলছেন
কিন্তু কেদার যাদব নিজে কী বলছেন? সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ছোটবেলা থেকে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলতাম। ছোট মাঠে অফ কিংবা লেগে ছয় মারলেই আউট। ছয় মারা যেত শুধু সোজাসুজি, বোলারের মাথার উপর দিয়ে। তাই বিভিন্ন রকম শট খেলতে হত।” অনেকেই কেদারের খেলার মধ্যে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সোজাসাপটা খেলার ধরন দেখতে পাচ্ছেন। ধোনির হেলিকপ্টার শটের মতো নতুন কোনও ট্রেড মার্ক শট কেদার ভবিষ্যতে উপহার দেন কিনা সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন- মোদীর রাজ্যে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কী কী থাকছে জেনে নিন