নজির: আট বছর পর জাতীয় রেকর্ড ভাঙলেন কমলপ্রীত। টুইটার
পাটিয়ালায় অনুষ্ঠিত ফেডারেশন কাপের শেষ দিনে ডিসকাস ছোড়ায় নতুন জাতীয় রেকর্ড করলেন ভারতীয় রেলের কর্মী কমলপ্রীত কৌর। ভাঙলেন ২০১২ সালে কৃষ্ণা পুনিয়ার রেকর্ড। একই সঙ্গে পেয়ে গেলেন আসন্ন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে নামার ছাড়পত্রও।
শনিবার ফেডারেশন কাপে ডিসকাস ছোড়ার ইভেন্টে সবার নজর ছিল দু’বছর পরে খেলতে নামা সীমা পুনিয়ার দিকে। ৩৭ বছর বয়সি সীমা ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিলেন। তাই তাঁকে ঘিরেই প্রত্যাশা ছিল বেশি। কিন্তু প্রথম ডিসকাস ছুড়তে এসেই ৬৫.০৬ মিটার অতিক্রম করেই কমলপ্রীত সব হিসেব উল্টে দেন।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের জন্য ছুড়তে হত ৬৩.৫০ মিটার। এই ইভেন্টেই ২০১২ সালে ৬৪.৭৬ মিটার দূরত্বে ডিসকাস ছুড়ে জাতীয় রেকর্ড করেছিলেন কৃষ্ণা পুনিয়া। এ দিন সে সব রেকর্ড ভেঙে দেন কমলপ্রীত। দ্বিতীয় হয়েছেন সীমা (৬২.৬৪ মিটার), তৃতীয় দিল্লির সোনাল গয়াল (৫১.১১ মিটার)।
অনবদ্য এই পারফরম্যান্সের পরে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন কমলপ্রীত। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘প্রথম ছোড়ার সময়েই সর্বশক্তি প্রয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েই নেমেছিলাম। তা কাজে লেগে গিয়েছে। এই আনন্দের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। স্নায়বিক উত্তেজনার কারণেই গত তিন দিন ঘুম হয়নি। ভাল লাগছে জাতীয়
রেকর্ড গড়ে।’’
সীমাকে দিদি বলে ডাকেন কমলপ্রীত। তাঁর আদর্শও সীমা। কমলপ্রীত বলেন, ‘‘প্রথম অভিনন্দন জানায় সীমা দিদি। বলল, আমি যে এ রকম ফল একদিন করব, তা জানত।’’ ২০১২ সালে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কমলপ্রীত প্রথম বার রাজ্য মিটে নেমে চতুর্থ হয়েছিলেন। তার পরেই অ্যাথলেটিক্সে মন দেন তিনি। বলেন, ‘‘মন দিয়ে পড়াশোনা করতাম না। ২০১২ সালে আমার কোচ রাজ্য মিটে নামিয়েছিলেন। সেখানে চতুর্থ হওয়ার পরে ঠিক করি, পড়ে কিছু করতে পারব না। ক্রীড়াবিদ হওয়ার চেষ্টা করি।’’
জয় পুনরুদ্ধার হিমার: মেয়েদের ২০০ মিটারের ফাইনালে কড়া প্রতিযোগিতা ছিল ধনলক্ষ্মী ও হিমা দাসের মধ্যে। বৃহস্পতিবারেই হিমাকে হারিয়ে ২০০ মিটারের হিটে মিট রেকর্ড করেছিলেন ধনলক্ষ্মী। এ দিন হিমা (২৩. ২১ সেকেন্ড) ফাইনালে ধনলক্ষ্মীকে (২৩.৩৯ সেকেন্ড) হারিয়ে তার মধুর প্রতিশোধ নিলেন। হিমার কথায়, ‘‘হিটে মনোনিবেশে ত্রুটি ছিল। আজ আর তা হয়নি। ভাল লাগছে সোনা জিতে। মরসুম সবে শুরু হয়েছে। পারফরম্যান্সে আরও উন্নতি করব।’’