পেনাল্টি থেকে গোল করার পথে রোনাল্ডো। (ডান দিকে) মাঠে ফিরেই গোল দিবালার। — ছবি রয়টার্স ও গেটি ইমেজেস।
ইটালির প্রধান ফুটবল লিগ ‘সেরি আ‘-তে জুভেন্টাসের হয়ে মাঠে ফিরেই কিন্তু পাওলো দিবালা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এখনও একই রকম বিপজ্জনক আছেন। করোনা প্রায় দু’মাস ধরে চিকিৎসাধীন, একঘরে করে রাখলেও তাঁর ফুটবলকে কমজোরি করতে পারেনি।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো পেনাল্টি থেকে গোল করার পরে বাঁ পায়ের দুর্ধর্ষ বাঁক খাওয়া শটে গোল করেন দিবালা। ‘সেরি আ’-তে তাদের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সোমবার রাতে বোলোগনার বিরুদ্ধে জুভেন্টাস ২-০ জেতে দুই তারকার গোলে। মার্চে এই দিবালাই করোনা ধরার পরে ৪৬ দিন ধরে নিভৃতবাসে ছিলেন। তখন প্রত্যেক সপ্তাহে তাঁর পরীক্ষা হচ্ছে আর প্রত্যেক বারই ‘পজিটিভ’ ফল আসছে। কোভিড-১৯ হানায় ইটালি তখন রীতিমতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত। দিবালার বান্ধবীরও করোনা ধরা পড়ে। ‘‘আমি যে নিজের খেলায় দারুণ খুশি হতে পেরেছি, তা নয়। তবে ভাল লাগছে দারুণ একটা ম্যাচে খেলতে পারলাম বলে। যখন ফুটবলে পা দিতে পারছিলাম না, সঠিক খাদ্য খেয়ে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করে গিয়েছি,’’ বলেন দিবালা।
করোনা-বিধ্বস্ত ইটালি স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছে। ফুটবলও ফিরেছে তবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। নজিরবিহীন টানা ন’বার লিগ খেতাব জয় তাড়া করছে জুভেন্টাস। সোমবার জিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাজিয়োর চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে গিয়েছে তারা। বুধবার আটলান্টার বিরুদ্ধে নামছে লাজিয়ো। নাপোলির কাছে কোপা ইটালিয়া ফাইনালে হারের পরে এই জয় স্বস্তি দেবে জুভেন্টাস ভক্তদের। তারকা ডিফেন্ডার লিয়োনার্দো বোনুচ্চি বলেছেন, ‘‘এই জয়ের খুব দরকার ছিল। এত দিন ফুটবল থেকে দূরে থাকার পরে মাঠে ফেরাটা সহজ ছিল না। আগের দু’টো ম্যাচে আমরা একশো শতাংশ ছিলাম না। এ বার ছন্দে আসছি।’’
জুভেন্টাসের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এ সি মিলান ৪-১ হারিয়েছে অবনমন বাঁচানোর জন্য লড়াই করা লিচ্চেকে। তারকা স্ট্রাইকার জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচকে না পেলেও গোল পেতে অসুবিধা হয়নি মিলানের। গত মাসে ট্রেনিংয়ের সময়ে চোট পান ইব্রা। তবে তাঁর চুক্তি শেষ হয়ে আসছে এবং নবীকরণ হবে কি না, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে।