ছবি: জবি জাস্টিনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।
ইস্টবেঙ্গলে গত বছর যখন খেলতেন তখন স্প্যানিশ কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস তাঁর ফুটবলার জীবন বদলে দিয়েছেন, বারবার বলেতেন।
এ বার কিংস কাপের জন্য জাতীয় শিবিরে প্রথম বার ডাক পেয়েই জাতীয় কোচ ইগর স্তিমাচের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জবি জাস্টিন। বলে দিলেন, ‘‘শারীরিক, মানসিক এবং টেকনিক্যালি একই সঙ্গে কী ভাবে উন্নতি করা যায়, তার চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন নতুন কোচ। প্রত্যেক দিনই তাঁর কাছ থেকে শিখছি আমি।’’
সোমবারই জাতীয় দল থেকে ছয় জন ফুটবলারকে বাদ দিয়েছেন ইগর। সেই তালিকায় আছেন স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের পছন্দের দুই ফুটবলার সুমিত পাসি এবং বিশাল কাইথ। ক্লাবে নিয়মিত সুযোগ না পেলেও জাতীয় দলে তাঁদের জায়গা পাকা ছিল। আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা জবি অবশ্য এ বারই প্রথম ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। স্টিভন তাঁকে না নিলেও ইগর নিয়েছেন। জাতীয় দলে কয়েকদিন অনুশীলন করার পরই কেরলের স্ট্রাইকার অবশ্য মুগ্ধ ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ দলের ব্রোঞ্জ জয়ী দলের সদস্যের কোচিং দেখে। ‘‘শিবিরে আমি প্রত্যেক দিনই কিছু না কিছু শিখছি। নিজেকে শক্তিশালী করছি। খাবার, শৃঙ্খলা, ট্রেনিং পদ্ধতি—সমস্ত কিছুতেই নতুনত্ব খুঁজে পাচ্ছি। আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলেন উনি। আমাদের সবার মধ্যে একতা আনার চেষ্টা করছেন কোচ,’’ বলেছেন জবি। যিনি এ বারই ইস্টবেঙ্গল থেকে এটিকেতে চলে গিয়েছেন। তাঁর সই নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে।
জবি এ দিন নিজের ফুটবলার জীবনের কথা বলতে গিয়ে অনেক নতুন তথ্য ফাঁস করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি জীবন শুরু করেছিলাম উইং ব্যাক হিসাবে। কিন্তু অফিসের হয়ে খেলতে গিয়ে কোচ আমাকে স্ট্রাইকার করে দেন। এবং নতুন পজিশনে খেলতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে এটা খুব চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু সেটা আমি উপভোগও করছি। আর গোল করার সঙ্গে সঙ্গেই অফিস-কোচ আমাকে পাকাপাকি স্ট্রাইকার করে দেন। তখন থেকেই আমি এই পজিশনে খেলে যাচ্ছি।’’
জবি ‘গুরু’ আই এম বিজয়নের কােছও কৃতজ্ঞ। বলেছেন, ‘‘আই এম বিজয়ন ভারতীয় ফুটবলে এক জনই আছে। আমার সৌভাগ্য তাঁর মতো মানুষের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত সাহায্য পাই। উনি আমাকে সবসময় উদ্বুদ্ধ করেন।’’