প্রতিদ্বন্দ্বী: দুই কিংবদন্তি। অ্যান্ডারসন ও বিরাট। ফাইল চিত্র
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার তিনি। অন্তত রেকর্ডের দিক দিয়ে এক নম্বরে তো বটেই। সেই জিমি অ্যান্ডারসন এখন মুখিয়ে আছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বল করার জন্য। তাঁর নাম বিরাট কোহালি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আজহার আলিকে আউট করে ৬০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক ছুঁয়েছেন অ্যান্ডারসন। কিন্তু তাতেও তিনি সন্তুষ্ট নন। সামনে লক্ষ্য স্থির করেছেন ৭০০ উইকেটের। আর তাকিয়ে আছেন কোহালির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিকে। পরের বছর ভারতে আসার কথা ইংল্যান্ডের। সেখানেই দেখা যাবে কোহালির সঙ্গে ওই দ্বৈরথ। যা নিয়ে অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘‘ওই রকম দক্ষতাসম্পন্ন ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে বল করাটা সব সময়ই কঠিন। জানি, লড়াইটা বেশ শক্ত। কিন্তু এই ধরনের চ্যালেঞ্জ খুব উপভোগ করি। আমি সব সময় সেরা ব্যাটসম্যানের উইকেটটাই চেয়ে এসেছি।’’
সেই ২০১৪ সালে ভারত যখন ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল, অ্যান্ডারসনকে সামলাতে চাপে পড়ে যান কোহালি। ১০ ইনিংসে কোহালির ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১৩৪ রান। চার বার আউট হয়েছিলেন অ্যান্ডারসনের বলে। কিন্তু চার বছর পরে আবার ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে শাসন করেছিল কোহালির ব্যাট। ওই সিরিজে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন ভারত অধিনায়ক। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল দুটি সেঞ্চুরি-সহ ৫৯৩ রান। যে দু’টি সিরিজ নিয়ে অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘‘২০১৪ সালে আমি কিছুটা সফল হয়েছিলাম কোহালির বিরুদ্ধে। কিন্তু ২০১৮ সালে যে কোহালিকে দেখি, সে ছিল সম্পূর্ণ অন্য ব্যাটসম্যান।’’
আরও পড়ুন: ‘বোলার’ কুম্বলের ক্লাসে স্পিনাররা
এই মুহূর্তে টেস্ট উইকেট প্রাপকের তালিকায় চার নম্বরে রয়েছেন অ্যান্ডারসন। মুথাইয়া মুরলীধরন, শেন ওয়ার্ন এবং অনিল কুম্বলের পরে। ২০১৮ সালের কোহালির মধ্যে কী পরিবর্তন দেখেছিলেন অ্যান্ডারসন? ৩৮ বছর বয়সি পেসারের জবাব, ‘‘ওই সফরে কোহালি বলগুলোকে খুব সুন্দর ছাড়ছিল। চার বছর আগে যখন এসেছিল, আমার আইটসুইংগুলোকে তাড়া করছিল। যে কারণে স্লিপে ক্যাচ যাচ্ছিল।’’ যোগ করেন, ‘‘২০১৮ সালে ও অনেক ধৈর্য নিয়ে ব্যাট করেছে। কোহালি অপেক্ষায় থাকত কখন শরীরের কাছে বল পাবে। অন সাইডে ও খুবই শক্তিশালী। তাই পছন্দের জায়গায় বল পেলেই সহজে রান করেছে।’’ ২০০৩ সালে অভিষেকের পরে এখনও পর্যন্ত ১৫৬টি টেস্ট খেলেছেন অ্যান্ডারসন। পরের বছর অ্যাশেজ এবং ভারত সফরেও আসতে তৈরি তিনি। এর আগে অ্যান্ডারসন বলেছিলেন, ‘‘আমি নিজের ফিটনেসের যত্ন নিচ্ছি। নিজের বোলিংকে আরও উন্নত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। তা হলে কেন খেলতে পারব না?’’ অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই মনে করেন, অ্যান্ডারসনের যা ফিটনেস, তাতে তাঁর পক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়াটা খুব কঠিন কাজ নয়।
ভারতের মাটিতে কী হবে তাঁর রণনীতি? অ্যান্ডারসনের জবাব, ‘‘আমরা আগেও উপমহাদেশের উইকেটে সফল হয়েছি। চেষ্টা করব, শুকনো পিচের ফায়দা নেওয়ার। ভারতে গিয়ে বল করার চ্যালেঞ্জটা আমরা উপভোগ করি।’’