লেস্টার স্ট্রাইকার জ্যামি ভার্দি। ছবি: রয়টার্স।
সরে যেতে হয়েছে লেস্টার সিটির সফতলতম কোচ ক্লদিও রেনেইরিকে। ক্লাবই তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পুরো দায়টাই এসে পড়েছে দলের স্ট্রাইকার তথা ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার জ্যামি ভার্দির ওপর। অতীতে বার বার কোচের সঙ্গে সর্ব সমক্ষেই ঝামেলায় জড়িয়েছেন ভার্দি। কোচের সঙ্গে যে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না সেটা আর কারও অজানা নেই। কিন্তু কোচকে সরিয়ে দেওয়াটা যে ক্লাবের সিদ্ধান্ত সেটা বার বার বলেও কাজ হয়নি। কোচকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই খুনের হুমকি পাচ্ছেন ভার্দি। নিয়মিত এই হুমকিতে রীতিমতো সন্ত্রস্ত ভার্দির পুরো পরিবার। কোচকে সরিয়ে দেওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে তাঁর নাম আসতেই সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ভার্দি। তিনি বলেন, ‘‘খবরটা হওয়ার পর থেকেই আমি হুমকি পাচ্ছি। শুধু আমাকে না আমার পরিবারকেও এই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এটা বার বার হচ্ছে। ভয়ঙ্কর ঘটনা।’’
আরও খবর: সাংবাদিকের ঘুম ভাঙালেন বার্সা কোচ এনরিকে, দেখুন ভিডিও
লেস্টারের প্রাক্তন ম্যানেজার ক্লদিও রেনেইরি।
সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় হাঁটতে গেলেও হুমকি পাচ্ছেন ভার্দি। কিন্তু অন্যায়ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে তাঁর নাম বলেই দাবি ভার্দির। কোনও প্লেয়ারের সঙ্গে ম্যানেজারের সমস্যা থাকার কথাও অস্বীকার করেছেন ভার্দি। বলেন, ‘‘একদমই না। যে মিটিংয়ে ক্লদিওকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেটার সম্পর্কে আমি লেখা পড়ি সংবাদ মাধ্যমে। যেটা হয়েছিল সেভিয়া ম্যাচের পর। যেখানে লেখা হয়েছে, আমি নাকি ব্যাক্তিগতভাবে এর পিছনে ছিলাম ওই মিটিংয়ে। কিন্তু সেই সময় আমি প্রায় তিন ঘণ্টা ডোপ পরীক্ষার কেন্দ্রে বসেছিলাম। এই খবর আমাকে খুব হতাশ করেছে। আমার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ মিথ্যে অপবাদ দেওয়া হয়েছে। প্লেয়ারদের সত্যিই এর পিছনে কোনও হাত নেই।’’ প্রতি সপ্তাহে প্রায় এই হুমকি পাচ্ছেন ভার্দি। যার ফলে ফুটবল মাঠেও ফ্যানদের থেকে অসম্মানিত হতে হচ্ছে। সব স্টেডিয়ামে গিয়েই এই ব্যবহার পাচ্ছেন ভার্দি।