ধাক্কা: ইনিয়েস্তাদের ফের জে লিগে হয়তো দেখা যাবে মার্চে। ফাইল চিত্র
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পাঁচ মাস আগে বড় ধাক্কা খেল জাপান। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সে দেশের ফুটবল প্রতিযোগিতা ‘জে লিগ’ বন্ধ করে দিতে হল। এর আগে চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশও জাতীয় ফুটবল লিগ বন্ধ করে দিয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আটকাতে।
জাপানে অন্ততপক্ষে ১৫৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ ছাড়া একটি ক্রুজ জাহাজে গত দু’লপ্তাহ ধরে ৭০০ জনকে আলাদা রাখা হয়েছে। এই জাহাজে চার জন অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন। ‘‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য জে লিগ নিয়ে এই বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে,’’ জানিয়েছেন লিগের চেয়ারম্যান মিতসুরু মুরাই। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা আসন্ন লেভেইন কাপ এবং সমস্ত সরকারি ম্যাচ ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
সোমবার চিকিৎসকদের একটি প্যানেল জাপান সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোখার ক্ষেত্রে আগামী দিনে লড়াই আরও কঠিন হতে চলেছে। এর মধ্যে চিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭০০। জাপানের সব চেয়ে বড় চিন্তা আসন্ন অলিম্পিক্স নিয়ে। অলিম্পিক্সের জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে এখনই জাপানের আয়োজকেরা অলিম্পিক্স নিয়ে আগাম কিছু বলতে নারাজ। করোনাভাইরাস আতঙ্কে অলিম্পিক্স পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে কিনা, জানতে চাইলে টোকিয়োর গভর্নর ইউরিকো কোইকে বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় না এ রকম ঘোষণা করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’’ মঙ্গলবার আবার আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সিনিয়র সদস্য ডিক পাউন্ড আবার বলেছেন, টোকিয়ো অলিম্পিক্স নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার মে মাসের মধ্যে নিতে হবে। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া কে-লিগ বাতিল করে দেয়। চিনা সুপার লিগের খেলাও আগেই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ কোরিয়া মার্চে বুসানে হওয়ার কথা থাকা বিশ্ব টেবল টেনিস দলগত চ্যাম্পিয়নশিপও পিছিয়ে দিয়েছে। এই প্রতিযোগিতা হবে জুনে।