ভ্যালেন্টিনা পেট্রিলো। —ফাইল চিত্র।
সাত বছর বয়সে অ্যাথলেটিক্সের প্রেমে পড়েছিলেন ভ্যালেন্টিনা পেট্রিলো। ১৯৮০ সালের মস্কো অলিম্পিক্সে ইটালির দৌড়বিদ পিয়েট্রো মেনেয়াকে দেখে অ্যাথলেটিক্স খেলার আগ্রহ তৈরি হয়েছিল তাঁর। পেট্রিলো রূপান্তরকামী মহিলা। এ বারের প্যারালিম্পিক্সে নামতে চলেছেন ইটালির এই দৌড়বিদ।
পেট্রিলো বলেন, “আমি ছোটবেলায় মেনেয়ার মতো হতে চাইতাম। ইটালির নীল জার্সি পরার ইচ্ছা ছিল। অলিম্পিক্সে নামতে চাইতাম। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে বাধা পেয়েছি। আমি পুরুষ নয়, মহিলা হিসাবে খেলতে চেয়েছিলাম। নিজেকে পুরুষ বলে মনে হত না।”
৫০ বছর বয়সে পেট্রিলোর স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। অলিম্পিক্স না হলেও প্রথম রূপান্তরকামী মহিলা হিসাবে প্যারালিম্পিক্সে নামতে চলেছেন তিনি। ২০০ এবং ৪০০ মিটারে টি১২ বিভাগে প্যারিসে নামবেন পেট্রিলো। আংশিক ভাবে দৃষ্টিশক্তিহীনেরা এই বিভাগে খেলেন।
গত বছর বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স সংস্থা রূপান্তরকামী মহিলাদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নামতে অনুমতি দেয়নি। কিন্তু বিশ্ব প্যারা অ্যাথলেটিক্স কোনও আপত্তি জানায়নি। ফলে পেট্রিলোর খেলতে কোনও সমস্যা নেই। জন্ম থেকেই তাঁর চোখে সমস্যা রয়েছে। জীবনের বেশির ভাগ সময় পুরুষ হিসাবেই কাটিয়েছেন পেট্রিলো। ২০১৭ সালে তাঁর একটি সন্তানও হয়। ২০১৯ সালে হরমোন থেরাপির মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন তিনি। এক ছেলেও রয়েছে পেট্রিলোর।