অনুশীলনে রাজু। ছবি টুইটার।
দুরন্ত ছন্দে থাকা মুম্বই সিটি এফসি-কে থামাতে রবি ফাওলারের অন্যতম সেরা অস্ত্র হতে পারতেন তিনি। কিন্তু রাজু গায়কোয়াড়ের খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত লাল-হলুদ শিবিরে।
কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরু হওয়ার ঠিক আগে পায়ের পেশিতে টান ধরায় ছিটকে গিয়েছিলেন রাজু। পরের ম্যাচে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধেও খেলতে পারেননি। শুক্রবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যে কোনও মূল্যে রাজুকে মাঠে ফেরাতে মরিয়া ফাওলার। টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি কাটাতে বুধবার প্রথম দলের ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়েছিলেন ফাওলার। বাকিদের অনুশীলন করান তিনি। রাজু হাল্কা অনুশীলন করেছেন। এই কারণেই তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। লাল-হলুদ শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, রাজুর চোট খুব একটা গুরুতর নয়। তবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলবেন কি না, তা আজ, বৃহস্পতিবার অনুশীলনে দেখার পরেই বিষয়টা স্পষ্ট হবে।
প্রথম পর্বে মুম্বই ৩-০ চূর্ণ করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। রক্ষণের ব্যর্থতাতেই হারে ফাওলারের দল। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। রাজু ও অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় যোগ দেওয়ায় রক্ষণের সমস্যা অনেকটা কেটেছে। টানা সাত ম্যাচে অপরাজিত এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবলের নবম স্থানে। প্লে-অফে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য মুম্বইকে হারাতে মরিয়া ইস্টবেঙ্গল।
রাজুর চোটের সঙ্গে ফাওলারের চিন্তা আক্রমণভাগকে নিয়েও। আগের দুই ম্যাচে ব্রাইট ও মাগোমাকে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন পিলকিংটনও। ৬৩ মিনিট দশ জনে খেলা লাল-হলুদের পতন রোধ করেছিলেন গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। যদিও চেন্নাইয়িন ম্যাচের পরে ফুটবলারদের পাশে থেকে ফাওলার বলেছিলেন, ‘‘আমি সব সময়ই ছেলেদের পাশে থাকি। জেতার মতো খেলেও তিন পয়েন্ট না পেয়ে হতাশ।’’ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবলই যে অস্ত্র, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ।
জয়ী আইজ়ল, নেরোকা: বুধবার আই লিগে আইজ়ল এফসি ২ গোলে হারায় গোকুলম এফসিকে। মোহনবাগান মাঠে ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল ম্যাক মালসোয়ামজ়ুয়ালার। ৭৬ মিনিটে গোল করে আইজ়লকে ২-০ এগিয়ে দেন লালরামমাওয়াইয়া। কল্যাণীতে অন্য ম্যাচে ম্যাচে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়কে ৪-০ গোলে হারায় নেরোকা এফসি। জোড়া গোল এমানুয়েল গার্সিয়ার। একটি করে গোল কালন কাইতাম্বা ও খাইমিনথাং লুংডিম-এর।