ম্যানুয়েল দিয়াজ লাল-হলুদের নতুন কোচ। ফাইল ছবি
আইএসএল-এর নতুন মরসুম শুরুর আগেই কোচের হটসিটে বদল এসসি ইস্টবেঙ্গলে। রবি ফাওলারের বদলে কোচ করে নিয়ে আসা হল স্পেনের ম্যানুয়েল ‘মানোলো’ দিয়াজকে। অতীতে রিয়াল মাদ্রিদের যুব দল ‘ক্যাস্টিয়া’কে কোচিং করিয়েছেন দিয়াজ। আসন্ন আইএসএল মরসুমে লাল-হলুদের কোচ হচ্ছেন তিনি।
লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে এই খবর রীতিমতো অবাক করা। কারণ ফাওলারের সঙ্গে আরও এক বছর চুক্তি ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের। অনেকেই মনে করেছিলেন, নতুন মরসুমে দল গড়া হবে ফাওলারের পরামর্শেই। ফাওলার-ঘনিষ্ঠ ফুটবলারদের নেওয়া হতে চলেছে, এমন একটা মন্তব্য গত ক’দিন নেটমাধ্যমে ভাসছিল। কিন্তু বুধবার বিকেলে সরকারি ভাবে কোচ বদলের খবর জানায় এসসি ইস্টবেঙ্গল।
দিয়াজের ফুটবল জীবন আহামরি নয়। তবে কোচিং জীবন ঈর্ষণীয়। রিয়াল মাদ্রিদের সব থেকে কম বয়সীদের দলে কোচ ছিলেন চার বছর। এরপর কিছু দিন মেক্সিকোয় কাটিয়ে ফের দেশে ফেরেন। এখন যিনি রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট, সেই ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ প্রথম দায়িত্বে আসার পরেই রিয়াল মাদ্রিদ ‘সি’ দলের কোচ করে নিয়ে আসেন দিয়াজকে। এরপর রিয়াল মাদ্রিদ ‘বি’ দলের কোচ হন। ২০১৭ সালে যুব দলের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। কিছু দিন পর ক্যাস্টিয়া দলের কোচ সান্তিয়াগো সোলারিকে মূল দলের কোচ করে দেওয়া হয়। দিয়াজ তখন ক্যাস্টিয়ার দায়িত্ব নেন। এসসি ইস্টবেঙ্গলে আসার আগে তিনি স্পেনের দল হারকিউলিসে কোচিং করিয়েছেন।
গত দু’দশকে কোচ হিসেবে মোট ৩২৮টি ম্যাচে দায়িত্বে ছিলেন দিয়াজ। জয়ের শতাংশের হার ৪১.৭৭। এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার পর তিনি বলেন, “মাদ্রিদে বলা হয়, জয় আমাদের ডিএনএ-র মধ্যে রয়েছে। বড় ক্লাবকে কোচিং করানোর যে চাপ এবং প্রত্যাশা সেটা আমরা ভালবাসি। আমাদের হাতে সময় কম। সামনে কঠিন রাস্তা। কিন্তু এসসি ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের খুশি করতে সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব।”
দিয়াজকে কোচ নিযুক্ত করার আগেই এসসি ইস্টবেঙ্গলের তরফে ফাওলারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করা হয়। সহকারী কোচ টনি গ্র্যান্টও থাকছেন না। গত মরসুমে ফাওলারকে নিয়ে বার বার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। সংবাদমাধ্যমে লাল-হলুদ সমর্থক এবং ভারতীয় ফুটবলের সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে বার বার নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন তিনি। নির্বাসিত হয়েছেন একাধিক বার, যার ফল ভুগতে হয়েছে দলকে। তবু নিজের আচরণের জন্য কোনও রকম অনুতাপ তাঁর ছিল না।