গোলের পরে রয় কৃষ্ণর উচ্ছ্বাস।
এটিকে-মোহনবাগান ১ ওডিশা ০
(রয় কৃষ্ণ)
জয়ের হ্যাটট্রিক এটিকে-মোহনবাগানের। ৯৪ মিনিটে রয় কৃষ্ণর গোলে ম্যাচ জিতল আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের দল। এটিকে-মোহনবাগান সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিলেন ম্যাচ গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হবে। ঠিক তখনই রয় কৃষ্ণর ম্যাজিক। তিরির সেন্টার থেকে সন্দেশের হেড খুঁজে নেয় কৃষ্ণর মাথা। তাঁর হেড এটিকে-মোহনবাগানকে এনে দেয় ৩ পয়েন্ট। এই ম্যাচ জিতে এটিকে-মোহনবাগান ৩ ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে মুম্বই সিটি।
এ বারের টুর্নামেন্টে শুরুটা ভাল হয়নি ওডিশার। হায়দরাবাদের কাছে প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল ওডিশা। তাদের দুই ফুটবলার মার্সেলিনহো ও দিয়েগো মরিসিওকে নজরে রেখেছিলেন হাবাসের ছেলেরা। মার্সেলিনহোকে আগে থেকেই চিনতেন হাবাস। এ দিন ম্যাচের শুরুতেই মার্সেলিনহোকে কড়া ট্যাকল করেন তিরি। সে যাত্রায় তিনি হলুদ কার্ড দেখেন। কিন্তু ওই কড়া ট্যাকলের ফলে মার্সেলিনহো নিজের সহজাত খেলা আর খেলতে পারেননি। ৬৭ মিনিটে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। মরিসিওকেও তুলে নেওয়া হয়। আর এই দুই ফুটবলার উঠে যাওয়ায় এটিকে-মোহনবাগানের রক্ষণভাগ অনেক নিশ্চিন্তে খেলতে শুরু করে।
২ দলের কোচই ডিফেন্স আগলে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যান টু ম্যান মার্কিং করে যেতে হয়। ওডিশা মোক্ষম সময়ে সেই কাজটাই আর করতে পারল না। সেই সুযোগ কাজে লাগান কৃষ্ণ। ৩ ম্যাচে ৩ গোল হয়ে গেল কৃষ্ণর। হাবাস ও বাক্সটার এর আগে মুখোমুখি হয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। একে অপরকে আগে থেকে জানতেন। আইএসএলে দুই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে শেষ হাসি তোলা থাকল হাবাসের জন্য।