এ বার দলের ব্যবধান বাড়ালেন মনবীর সিংহ। পাস বাড়ালেন সেই রয় কৃষ্ণ। ছবি - আইএসএল
ঘরের মাঠে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেল আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের এটিকে মোহনবাগান। শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল সবুজ-মেরুন। আর সেই জন্য খালিদ জামিলের বিরুদ্ধে জয় পেলেন স্প্যানিশ কোচ। আর এই জয়ের ফলে আগামী ১৩ মার্চ মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে মাঠে নামবে মোহনবাগান।
৯২ মিনিট- শেষ মুহূর্তেও সমতা ফেরানোর লড়াই করছে খালিদের দল।
৮৮ মিনিট- তৃতীয় বদল আনলেন খালিদ। সুহেরের পরিবর্তে মাঠে এলেন ব্রিটো।
৮৭ মিনিট- জোড়া বদল করলেন হাবাস। এ বার উইলিয়ামসের জায়গায় মাঠে এলেন জয়েস রানে।
৮৪ মিনিট- হাভির বদলে মাঠে এলেন প্রবীর দাস।
৮৩ মিনিট- সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারলেন না লুইস মাচাদো। শট বাইরে চলে গেল।
৮১ মিনিট- ইদ্রিসা সাইলাকে পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য পেনাল্টি পায় নর্থ-ইস্ট।
৭৪ মিনিট- রক্ষণের ফাঁক ও অরিন্দমের ভুল! বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে হেডে গোল করে ব্যবধান কমালেন ভিপি সুহের। এই মুহূর্তে ফল ২-১
৭০ মিনিট- দ্বিতীয় বদল করলেন খালিদ। ফেদ্রিকো গ্যালেগোর পরিবর্তে নামলেন দেসোঁ ব্রাউন।
৬৮ মিনিট- মাঝমাঠ থেকে রয় কৃষ্ণর ঠিকানা লেখা পাস। সেই বল নিয়ে একক দক্ষতায় বাঁ পায়ে দারুণ গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দিলেন মনবীর সিংহ।
৬৪ মিনিট- ড্যানিয়েল ফক্সের বদলে বেঞ্জামিন ল্যাম্বটকে মাঠে নামালেন খালিদ জামিল।
৬২ মিনিট - কর্নার থেকে ডেভিড উইলিয়ামসের পাস। শুভাশিসকে পরাস্ত করে প্রায় গোল করে ফেলছিলেন রয় কৃষ্ণ। তবে দুরন্ত মেজাজে গোল লাইন সেভ করে নর্থ-ইস্টের পতন রোধ করলেন আশুতোষ মেহতা।
৫২ মিনিট - দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই সন্দেশ, তিরিদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে নর্থ-ইস্ট।
৪৭ মিনিট - আক্রমণাত্মক মেজাজে মাঠে নেমেছে পাহাড়ের দল। এ বার লুইস মাচাদো সমতা ফেরানোর চেষ্টা করলেন। যদিও তাঁর শট পোস্টের বাইরে চলে গেল।
৪৭ মিনিট- অপ্রতিরোধ্য অরিন্দম। ভিপি সুহেরের বাঁ পায়ের শট বাঁচিয়ে দিলেন এটিকে মোহনবাগানের গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু- ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নামছে হাবাসের দল। সন্দেশ, তিরি, প্রীতমের রক্ষণ ভেঙে গোলের খোঁজে খালিদের নর্থ-ইস্ট।
বিরতি- দলকে এগিয়ে রাখার কারিগর ডেভিড উইলিয়ামস। দুরন্ত ও আক্রমণাত্মক ফুটবলের সৌজন্যে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান।
৪৪ মিনিট- মুহুর্মুহু আক্রমণ। প্রথমার্ধে এখনও পর্যন্ত ১৬ বার গোলের জন্য শট করেছে এটিকে মোহনবাগান।
৩৮ মিনিট- অনবদ্য গোল। গত সেমি ফাইনালের মত এ বার ডেভিড উইলিয়ামসের গোলার মত শটে এগিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগান। অজি স্ট্রাইকারকে বল বাড়িয়ে গোলের জন্য অবদান রাখলেন রয় কৃষ্ণ।
৩৭ মিনিট - আবার গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন রয় কৃষ্ণ। বিপক্ষের ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ে শট নিলেন মাটিতে পরে দলের পতন বাঁচান শুভাশিস।
৩১ মিনিট- রয় কৃষ্ণ-ডেভিড উইলিয়ামস জুটি বিপক্ষের রক্ষণে কাঁপুনি ধরাচ্ছে।
৩০ মিনিট- রয় কৃষ্ণকে অহেতুক ধাক্কা দেওয়ার জন্য হলুদ কার্ড দেখলেন নর্থ-ইস্টের মাশুর শারিফ।
২৭ মিনিট- বিপক্ষের রক্ষণকে বোকা বানিয়েও গোল করতে পারলেন না ফিজি তারকা রয় কৃষ্ণ। খেলা এখনও ০-০।
২১ মিনিট- তিরিকে কাটিয়ে প্রায় গোল করে দিচ্ছিলেন লুইস মাচাদো। তবে গোলের নীচে দুরন্ত অরিন্দম। দারুণ সেভ করে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করলেন।
১৫ মিনিট- নর্থ-ইস্টের প্রথম আক্রমণ। কাসা কামারার পাস থেকে বল পান ইদ্রিসা সাইলা। তবে লাভ হয়নি। তাঁর শট বস্কের বাইরে চলে যায়।
১০ মিনিট- সবুজ-মেরুন বাহিনীর আক্রমণের ঝাঁজে ব্যস্ত বিপক্ষের গোলরক্ষক শুভাশিস ও দলের রক্ষণ।
৯ মিনিট- এই নিয়ে নর্থ-ইস্টের বক্সে তৃতীয় আক্রমণ করল এটিকে মোহনবাগান। তবে এ বারও ডেভিড উইলিয়ামসের শট বাইরে চলে যায়।
৪ মিনিট- আবার আক্রমণ। এ বার হাভির কর্নার কিক থেকে হেডে গোল করার চেষ্টা করেন ডেভিড উইলিয়ামস। তবে বল পোস্টের অনেক উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৩ মিনিট- রয় কৃষ্ণর পাস থেকে বাঁ পায়ে গোল করার চেষ্টা করেন হাভি হার্নান্দেজ। শুভাশিস বাঁ দিকে ঝাপালে বল পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়।
খেলা শুরু- প্রথম থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলছে সবুজ-মেরুন।
গোলে দুই বঙ্গ সন্তানের লড়াই। অরন্দিম ভট্টাচার্য ও শুভাশিস রায় চৌধুরীর লড়াইয়ের কে হাসবে শেষ হাসি?
গোলের খোঁজে রয়েছেন খালিদ। 'সুপার সাব' হিসেবে মাঠে নেমে গত ম্যাচের গোলদাতা ইদ্রিসা সাইলা এই ম্যাচে শুরু থেকেই খেলছেন। এছাড়া প্রথম একাদশে আছেন মাশুর শারিফ।
সেমিফাইনালে সন্দেশ জিঙ্ঘনকে নামিয়ে বড় চমক দিলেন হাবাস।
এবারের আইএসএল জয়ী এখনও পর্যন্ত প্রথম লেগের সেমিফাইনাল জিততে পারেননি। গত মরসুমেও তেমন হয়েছিল। সে বার বেঙ্গালুরু এফসি-র কাছে ১-০ ব্যবধানে প্রথম লেগে হেরে যায় তাঁর দল। তবে দ্বিতীয় লেগে ৩-১ জিতে ফাইনালে চলে যান হাবাস। এবারও কি তেমন কিছু ঘটাতে চাইছেন আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস।
খালিদ জামিলের নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে প্রথম সেমিফাইনালে ৭০ মিনিট পর্যন্ত দাপট দেখায় সবুজ-মেরুন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রক্ষণভাগ ও গোল রক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যের ভুলে জয় মাঠে ফেলে আসে হাবাসের দল। ৯৪ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান ইদ্রিসা সাইলা। সেই ভুল না করলে ঘরের মাঠ ফতোরাদা স্টেডিয়ামে অনেক স্বস্তিতে থাকতেন স্প্যানিশ কোচ।