গোল করার পথে নর্থ ইস্টের বিদেশি মিডিয়ো প্যানাজিওটিস ট্রিয়াডিস।—ছবি আইএসএল।
লোপেজ আন্তোনিও হাবাসের দল লিগ শীর্ষেই থেকে গেল। সুযোগ পেয়েও এটিকে-কে টপকাতে পারল না জামশেদপুর। ৮৯ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে স্বপ্নভঙ্গ হল সুব্রত পালদের। আঠাশ মিনিটে সের্জিও ক্যাসেলের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আন্তোনিও ইরিওন্দোর দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১-১ করে দিলেন নর্থ ইস্টের বিদেশি মিডিয়ো প্যানাজিওটিস ট্রিয়াডিস।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ বার বহু ম্যাচেই শেষ মুহূর্তে নানা নাটকীয় ঘটনা ঘটছে। ঘটছে অঘটনও। গতবারের চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু হেরে যাচ্ছে। যুবভারতীতে দু’দিন আগেই এটিকের সঙ্গে মুম্বই সিটি এফ সি-র খেলায় সংযুক্ত সময়ে জোড়া গোল হয়েছে এবং খেলা ড্র হয়েছে। এ দিন জে আর ডি টাটা স্টেডিয়ামেও সে রকমই চমকপ্রদ ঘটনা ঘটল। যখন ধরা হচ্ছিল জামশেদপুর ম্যাচ জিতে ফের শীর্ষে উঠতে চলেছে। তখনই জন আব্রাহামের দল তাদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিল। ফলে হাবাস এবং ইরিওন্দোর দলের পয়েন্ট (১১) হলেও গোল পার্থক্যে শীর্ষেই থেকে গেল কলকাতা।
জামশেদপুরের হয়ে এ বার প্রায় প্রতি ম্যাচেই গোল পাচ্ছেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার সের্জিও ক্যাসেল। আটলেটিকো মাদ্রিদ ‘বি’ দলে খেলা এই স্ট্রাইকার একাই টানছেন দলকে। আগেই পাঁচ ম্যাচে চার গোল করেছিলেন। এ দিন তার সঙ্গে যুক্ত হল আরও একটি। জামশেদপুরের গোলের পাসটি সের্জিও পেয়েছিলেন ফারুক চৌধুরীর কাছ থেকে। প্যানাজিওটিসের গোলটির পিছনে অবশ্য নর্থ ইস্টের অসমোয়া গিয়ানের এবদান। তিনিই জামশেদপুর অধিনায়ক তিরি-কে টপকে বল পাঠান প্যানাজিওটিসকে। ঘানা জাত অসমোয়া একবার নিজেও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ দিন দু’দলের গোলে ছিলেন দুই বঙ্গসন্তান গোলকিপার সুব্রত পাল এবং শুভাশিস রায়চৌধুরী। ম্যাচের ফলে দু’জনেই খুশি।