সহবাগের অভিযোগ, ভারতের উন্নতি কিছুতেই সহ্য করতে পারে না পশ্চিমি দেশগুলি। ফাইল চিত্র ।
এ বার আদানিকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন বীরেন্দ্র সহবাগ। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন এই ব্যাটারের করা একটি টুইটের পর অন্তত এমনটাই মনে করছেন অনেকে। মনে করা হচ্ছে আদানিদের পক্ষে যুক্তি খাড়া করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ব্যাটার। একই সঙ্গে নাম না করে তিনি হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে।
সহবাগের অভিযোগ, ভারতের উন্নতি কিছুতেই সহ্য করতে পারে না পশ্চিমি দেশগুলি। ভারতীয় শেয়ার বাজারের পশ্চিমি দেশগুলি ‘হিট জব’ করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সহবাগের দাবি, ভারতের শেয়ার বাজারে সৃষ্টি হওয়া অনিশ্চয়তা একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
সোমবার একটি টুইট করে সহবাগ লেখেন, ‘‘গোরো সে ইন্ডিয়া কি তরক্কি বরদাস্ত নহি হোতি (বিদেশিরা ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না)। ভারতীয় বাজারে ‘হিট জব’ একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মতো মনে হচ্ছে। কিন্তু তারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, ভারত শক্তিশালী হয়ে ঘুরে দাঁড়াবে।’’ সহবাগের এই টুইটের পরই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়ে যায়।
গত ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ারের দরে কারচুপি এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছে আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েছে আদানি গোষ্ঠী। ধস নেমেছে আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে। প্রায় অর্ধেক সম্পত্তি খুইয়েছে আদানিরা। তাই মনে করা হচ্ছে সহবাগ যে ভারতীয় বাজারের বিপর্যয়ের কথা টুইটে উল্লেখ করেছেন তা আদানিদের জন্যই। সহবাগ ‘হিট জব’ বলতে আদানি গোষ্ঠী নিয়ে করা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে বলতে চেয়েছেন। এমনটাও মনে করেছেন কেউ কেউ।
অনেক টুইটার ব্যবহারকারীই সহবাগের টুইটের উপর ভিত্তি করে আদানিদের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। আবার অনেকের দাবি, প্রাক্তন ব্যাটার আদপে আদানিদের নিয়ে কিছু লেখেনইনি। টুইট ছিল সম্পূর্ণ ভারতকেন্দ্রিক।
সহবাগ প্রায়ই তাঁর পোস্টগুলিতে চলতে থাকা বিষয়গুলিতে নিজের মতামত শেয়ার করেন। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ভারত সরকারের করা নোটবন্দির সিদ্ধান্তকেও ‘ভাল পদক্ষেপ’ বলে প্রশংসা করেছিলেন তিনি।