ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রোমি। —ফাইল চিত্র
আমদাবাদে ঋদ্ধিমান সাহার খুনে মেজাজের শিকার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বোলাররা। কিন্তু সেই ইনিংস দেখেননি স্ত্রী দেবারতি (রোমি নামেই পরিচিত)। তিনি ঋদ্ধির ব্যাটিং দেখেন না, এই ম্যাচেও দেখেননি। কিন্তু চাইছিলেন ঋদ্ধি এমন একটা ইনিংস খেলুক। তাঁর মাথাতেও যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ঘুরছে।
রবিবার দুপুরে ঋদ্ধি একের পর এক বল মাঠের বাইরে পাঠাচ্ছেন। লখনউয়ের বোলাররা দিশাহারা। কিন্তু রোমি আগের মতো এখনও ঋদ্ধির ব্যাটিং দেখেননি। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগে চাইছিলাম ও এমন একটা ইনিংস খেলুক। সেটাই খেলেছে। আমি চাই ও সর্বোচ্চ পর্যায় ক্রিকেট খেলুক।”
রবিবার প্রথমে ব্যাট করতে নামে গুজরাত টাইটান্স। ৩৮ বছরের ঋদ্ধির বিধ্বংসী ইনিংসের সামনে ম্লান হয়ে যান ২৩ বছরের শুভমন গিলও। ঋদ্ধি যখন ৫০-এর দোরগোড়ায়, তখন গিল ১০ রানের গণ্ডিও পার করেননি। ৪৩ বলে ৮১ রান করেন ঋদ্ধি। চারটি ছক্কা এবং ১০টি চার মারেন তিনি। ৫০ রানের মাইলফলকটা ছুঁলেন ছক্কা মেরেই। আমদাবাদে বাঙালি ঋদ্ধির মেজাজটাই তখন আলাদা। রোমি বলেন, “আমি ওর ব্যাটিং দেখি না। মাঠে থাকলেও দেখি না। টিভিতে তো দেখার প্রশ্নই নেই। রিপ্লে দেখি। এই ইনিংসটারও রিপ্লে দেখব।”
অনেক দিনই ভারতীয় দলের বাইরে ঋদ্ধিমান। ঋষভ পন্থকে প্রথম উইকেটরক্ষক হিসাবে খেলায় ভারত। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে নেওয়া হয় শ্রীকর ভরতকে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও রাখা হয়নি ঋদ্ধিকে। গাড়ি দুর্ঘটনার পর থেকেই ঋষভ দলের বাইরে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে রাখা হয় ভরত এবং লোকেশ রাহুলকে। মনে করা হচ্ছিল রাহুলই হয়তো উইকেটরক্ষা করবেন। কিন্তু চোটের কারণে তিনিও বাইরে। এর পরেই দাবি উঠতে শুরু করেছে ঋদ্ধিকে ফেরানোর।
গত বছর বাংলার ক্রিকেট সংস্থার থেকে ছাড়পত্র নেন ঋদ্ধি। তিনি যোগ দেন ত্রিপুরার দলে। সেই দলের হয়েই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন ঋদ্ধি। সেই ভাবে নজর কাড়তে পারেনি তাঁর দল। ঋদ্ধিও নজরে আসেননি খুব একটা। কিন্তু আইপিএল শুরু হতেই নিজের মেজাজে ঋদ্ধি। ধারাবাহিক ভাবে রান করে চলেছেন। ছন্দে থাকা ক্রিকেটারকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কি ফেরাবে ভারত। রোমি বলেন, “দলে সুযোগ পাবে কি না সেটা তো নির্বাচকদের হাতে।”