বিরাট কোহলি এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
আর একটি ম্যাচ, তার পরেই বিরাট কোহলি এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে আর কখনও একসঙ্গে মাঠে খেলতে দেখা যাবে না! শনিবার আইপিএলে মুখোমুখি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই সুপার কিংস। এ বারের আইপিএলে এটাই দুই দলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ। একটি দল শনিবার ছিটকে যাবে, অন্য দল উঠবে প্লে-অফে। কিন্তু ধোনি যদি এ বারের আইপিএলের পর অবসর নিয়ে নেন, তা হলে আর কখনও ধোনি, বিরাটকে একসঙ্গে মাঠে খেলতে দেখা যাবে না।
২০১৯ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে শেষ বার একসঙ্গে খেলেছিলেন বিরাট এবং ধোনি। তার পর থেকে আইপিএলেই শুধু খেলেন ধোনি। ফলে চেন্নাই বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচ ছাড়া আর কখনও ধোনি, বিরাটকে একসঙ্গে দেখা যায় না। সেটাও হয়তো এই বছরের পর আর দেখা যাবে না। বিরাটের এক কথায় এমন সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, “ভারতের যে কোনও মাঠে ধোনি খেলতে নামছে মানেই সমর্থকদের কাছে সেটা বড় ঘটনা। আমি আর ধোনি হয়তো শেষ বার একসঙ্গে মাঠে নামব। কী হবে কেউ জানে না। এটা খুবই অভিনব একটা ঘটনা। আমরা একসঙ্গে ভারতের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছি। অনেক জুটি আছে আমাদের। সমর্থকদের কাছে আমাদের দু’জনকে একসঙ্গে দেখতে পাওয়াটা বেশ আকর্ষণীয়।” বিরাটের এই কথায় অনেকেরই মনে হচ্ছে, এই আইপিএলের পরেই অবসর নেবেন ধোনি।
বিরাটকে এখন দেখা যায় শেষ পর্যন্ত ক্রিজ়ে থাকার চেষ্টা করতে। ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে। তা নিয়ে সমালোচনাও করা হয়। বিরাট বলেন, “মাহি ভাইকেও সমালোচনা করা হত। প্রশ্ন উঠত কেন শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কত ম্যাচ ও জিতিয়েছে ভারতকে। আমার মনে হয় ধোনি একমাত্র ব্যক্তি, যে জানে সে কী করছে। এটা অভ্যাস। ধোনি জানে শেষ পর্যন্ত গেলে ও ম্যাচ জিতিয়ে দেবে।”
বিরাটের মতে ধোনির মতো কেউ ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝতে পারে না। বিরাট বলেন, “ম্যাচের পরিস্থিতি ওর মতো কেউ বোঝে না। চাপ নেওয়ার ক্ষমতা ওর মতো কারও নেই। অধিনায়ক হিসাবে ওর মস্তিষ্ক কতটা প্রখর তা গোটা বিশ্ব দেখেছে।” ধোনির নেতৃত্বে দীর্ঘ দিন ভারতের হয়ে খেলেছেন বিরাট। আবার উল্টোটাও হয়েছে। ধোনির কেরিয়ারের শেষ দিকে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট। তিনি বলেন, “আমি অধিনায়ক হওয়ার পর ধোনির সঙ্গে প্রচুর আলোচনা করতাম। ধোনি অধিনায়ক থাকার সময় আমি প্রচুর ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে যেতাম ওর কাছে। সেই কারণেই আমাদের সম্পর্কটা এত ভাল। আমরা দু’জনেই দলের কিসে ভাল হবে সেটা ভাবার চেষ্টা করেছি। আমার উপর পূর্ণ আস্থা ছিল ধোনির। আমারও ওর উপর বিশ্বাস ছিল। আমরা কখনও কোনও আলোচনা মাঝপথে ছাড়িনি। হয় ওর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি, অথবা আমার পরিকল্পনার সঙ্গে একমত হয়েছে ধোনি। এটা তখনই সম্ভব, যখন একে অপরের প্রতি সৎ থাকা যায়।”
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।