রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
রোহিত শর্মার সঙ্গে একমত বিরাট কোহলি। ভারতীয় দলের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের বিরুদ্ধে। আইপিএলে গত বছর থেকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম চালু হয়েছে। তা খুব একটা উপযোগী নয় বলেই মত রোহিত এবং বিরাটের।
আইপিএলের মাঝেই রোহিত ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন যে, তাঁর এই নিয়ম পছন্দ নয়। এ বার সম্প্রচারকারী সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেন, “আমি রোহিতের সঙ্গে সহমত। বিনোদন খেলার অঙ্গ, কিন্তু এই নিয়ম ক্রিকেটের ভারসাম্য নষ্ট করছে। আরও অনেকেই এমনটা মনে করে, শুধু আমি একা নই।”
বিরাটের সংযোজন, “বোলারেরা ভাবছে প্রতি বলেই চার বা ছয় হবে, এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায় ক্রিকেট খেলছি, সেখানে এমন হওয়া উচিত নয়। ব্যাট এবং বলের সমান আধিপত্যের একটা সৌন্দর্য আছে। সব দলে তো আর (যশপ্রীত) বুমরা থাকে না। এক জন বাড়তি ব্যাটার খেলানোর সুযোগ পাচ্ছি বলেই আমি পাওয়ার প্লে-তে ২০০ রানের স্ট্রাইক রেটে খেলছি। আমি জানি আট নম্বর পর্যন্ত ব্যাটার আছে।”
কিছু দিন আগে রোহিত বলেছিলেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মটা আমার খুব একটা পছন্দ নয়। এর ফলে অলরাউন্ডারদের প্রয়োজন কমে গিয়েছে। ক্রিকেটটা এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ক্রিকেটটা নষ্ট হচ্ছে। দর্শকের জন্য যদিও খুব উপভোগ্য হচ্ছে ব্যাপারটা।” রোহিতের মতে এই নিয়মের ফলে ভারতীয় অলরাউন্ডারেরা সুযোগ পাচ্ছেন না।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম আগামী দিনে থাকবে কি না তা ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহ। তিনি বলেছিলেন, “ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি, সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী দিনে এই নিয়ম থাকবে কি না। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মটি পাকাপাকি নয়। তবে কেউ এই নিয়মের বিরোধিতা করে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি। পরীক্ষামূলক ভাবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম চালু করা হয়েছে। আইপিএলে প্রতি ম্যাচে দু’জন ভারতীয় বেশি খেলার সুযোগ পাচ্ছে।”
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বিরাট যদিও ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি শুনেছি জয় ভাই বলেছেন এই নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমি নিশ্চিত তাঁরা এমন একটা সিদ্ধান্ত নেবেন, যাতে খেলায় ভারসাম্য ফিরে আসে। ব্যাটার হিসাবে আমি বলব এই নিয়ম ভাল, কিন্তু খেলাটা তো উত্তেজক হওয়া উচিত। ক্রিকেট মানে তো শুধু চার আর ছক্কা নয়। ১৬০ রান করে ম্যাচ জেতাটাও উত্তেজক।”