এক বছর আগেও সুযশ সুযোগ পাননি নিজের রাজ্যের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নজর কেড়েছেন সুযশ শর্মা। এখনও পর্যন্ত ন’টি ম্যাচ খেলে ১০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। অধিকাংশ ম্যাচেই কেকেআর তাঁকে ব্যবহার করেছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে। এই সুযশই বাতিল হয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ট্রায়ালে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে আইপিএলের অভিষেকেই ৩ উইকেট নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন সুযশ। কেকেআর তরুণ স্পিনারের উপর ভরসা রাখলেও সুযশের আগের ক্রিকেটজীবন ছিল বেশ কঠিন। রাজ্যের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য ট্রায়ালে ভাল পারফরম্যান্স করেও সুযোগ পাননি। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে সুযশ বলেছেন, ‘‘গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য ট্রায়াল দিয়েছিলাম। ভাল পারফরম্যান্স করেছিলাম ট্রায়ালে। তবু নির্বাচিত হইনি। রাত ১২.৩০ থেকে ১টার মধ্যে একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন ঘুমিয়েছিলাম। রাত ৩টের সময় উঠে তালিকায় নাম না দেখে দু’ঘণ্টা ধরে কেঁদেছিলাম।’’
তার পরে আরও খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল সুযশের। আইপিএলের ব্যস্ততার মধ্যে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘বলা হয়েছিল আরও এক বার আমার বোলিং দেখা হবে। কিন্তু যাওয়ার পর আমাকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছিল। খুব হতাশ হয়েছিলাম। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছিলাম। মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছিলাম। আমার সঙ্গে যা ঘটেছিল, সেটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না কিছুতেই।’’
আইপিএলের আগে কখনও পেশাদার ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় খেলেননি সুযশ। অনূর্ধ্ব-১৯ ট্রায়ালে সুযোগ না হলেও হাল ছাড়েননি। নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদই তাঁকে আইপিএল খেলার সুযোগ করে দিয়েছে। কেকেআরের তরুণ স্পিনার বলেছেন, ‘‘হতাশ হলেও নিজেকে আরও দক্ষ করে তোলার শপথ নিয়েছিলাম। ঠিক করেছিলাম এমন বোলিং করব যাতে যাঁরা বাতিল করলেন, তাঁরাই যেন আমাকে ডাকতে বাধ্য হন। পারফরম্যান্স ছাড়া কোনও কিছুতে নজর দিতাম না। আস্তে আস্তে পারফরম্যান্স আরও ভাল হতে শুরু করল। সঙ্গে চুলও বড় হতে লাগল। তাই আর চুল কাটাইনি। বড় চুল আমার স্টাইল হয়ে গেল। আর পাল্টাইনি।’’
বাঁহাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে সুযশের বল বেশ কার্যকর। সুযশ অবশ্য কাকে বল করছেন, তা নিয়ে ভাবেন না। পরিকল্পনা মতো সঠিক বল করার চেষ্টা করেন। বড় চুল রেখে সাফল্য পাচ্ছেন। তাই বড় চুল নিয়েই খেলা চালিয়ে যেতে চান।