বিরাট কোহলি। — ফাইল চিত্র।
সুনীল গাওস্করের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ঠিক করেননি বিরাট কোহলি। আরও সংযত আচরণ কাম্য ছিল। কোহলির সমালোচনা করে গাওস্করের পাশে দাঁড়ালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম। তাঁর মতে, ভারতের দুই অন্যতম সেরা ব্যাটারের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সুসম্পর্ক থাকা উচিত।
গাওস্কর-কোহলি সংঘাত পছন্দ হয়নি আক্রমের। তিনি বলেছেন, ‘‘দু’জনেই অসাধারণ ক্রিকেটার। সানি ভাইকে (গাওস্কর) ক্রিকেটার হিসাবে চিনি। মানুষ হিসাবেও চিনি। মাঠের বাইরের মানুষটাকে জানি। ধারাভাষ্যকার হিসাবেও চিনি। দীর্ঘ দিন ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। কোহলি এখনকার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আধুনিক ক্রিকেটের মহান খেলোয়াড়ও বলা যায়। পরিসংখ্যান দেখলে সর্বকালের অন্যতম সেরাও বটে। পারফরম্যান্স করেই পর্যায়ে এসেছে। তবু বলব, কোহলি এ ভাবে কথা বলা উচিত হয়নি।’’
গাওস্করের পাশে দাঁড়িয়ে আক্রম আরও বলেছেন, ‘‘ধারাভাষ্যকারেরা তাঁদের কাজ করেন। কোহলি যদি দু’টো ম্যাচে মন্থর ব্যাটিং করে থাকে এবং সেটা নিয়ে গাওস্কর যদি কিছু বলে— এটা মনে রাখার মতো কী ঘটনা। ভুলে যাওয়াই উচিত। কোহলি তো এমন ধরনের ছেলে নয়। দু’জনেই ভারতের গর্ব। দু’জনেই দুর্দান্ত খেলোয়াড়। মতবিরোধ হতেই পারে। মনে হয় না এই সমস্যাটা আরও বাড়বে। আশা করব কেউই এটাকে ব্যক্তিগত ভাবে নেবে না এবং দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। দু’জনকেই চিনি আমি। তাই ভরসা আছে।’’
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোহলি ৪৩ বলে ৫১ রান করেছিলেন। তাঁর খেলা শেষ ২৫টি বলে একটিও চার বা ছয় মারতে পারেননি। কোহলির মন্থর ব্যাটিং দেখে বিরক্ত গাওস্কর বলেছিলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে না কোহলি ফর্মে রয়েছে। সঠিক মনে নেই, তবে ৩১-৩২ রান করার পর আর একটাও চার মারতে দেখলাম না। ওপেন করতে নেমে ১৫তম ওভারে আউট হয়েছে। অথচ কোহলির স্ট্রাইক রেট ১১৮ মতো! দল ওর থেকে মোটেও এমন ইনিংস আশা করে না।’’
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে গত ২৮ এপ্রিলের ম্যাচে ৪৪ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর সমালোচকদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন কোহলি। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার সম্পর্কে অনেকে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে আমি দ্রুত রান করতে পারি না। কেউ বলে স্পিন খেলতে পারি না। ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। আমি এখন এই সব কথায় আর কান দিই না। নিজের কাজ করে যাই। আত্মসম্মান বজায় রেখে খেলতে চাই। সমর্থকদের জন্য খেলতে চাই।” বলার পর কোহলি ধারাভাষ্যকারদের বক্সের দিকেও ইঙ্গিত করেছিলেন।
তার পর গাওস্কর আবার বলেছিলেন, ‘‘কেউ ১১৮ স্ট্রাইট রেট নিয়ে ইনিংসের ১৪ বা ১৫তম ওভার পর্যন্ত ব্যাট করার পর প্রশংসা চাইলে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়। সে আবার বলেছে, বাইরের কারও কথায় কান দেয় না। কারও কথায় পাত্তা দেয় না। ভাল। তা হলে সে বাইরের কথার উত্তর কেন দিচ্ছে? যাই বলা হোক না কেন। হয়তো ওর মতো প্রচুর না হলেও আমরা সকলেই অল্প কিছু ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের কোনও উদ্দেশ্য থাকে না। যা দেখি সেটাই বলি আমরা। আমাদের কোনও পছন্দ-অপছন্দ থাকে না। কারও থাকলেও প্রকাশ করেন না। খেলায় যেটা হয়, সেটাই বলি আমরা।’’