বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলে সব দল চেষ্টা করে নিজেদের ঘরের মাঠে জিততে। চেন্নাই সুপার কিংস, গুজরাত টাইটান্স, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো দলকে তাদের ঘরের মাঠে গিয়ে হারানো খুব কঠিন। এখানেই বাকি সবার থেকে পিছিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরেছে তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরতে মরিয়া বিরাট কোহলিরা। কিন্তু তাঁদের প্রধান চিন্তা ঘরের মাঠ নিয়েই।
২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইপিএল আরসিবি ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে খেলেছে ৮৪টি ম্যাচ। তার মধ্যে ৩৯টি ম্যাচ জিতেছে তারা। হেরেছে ৪০টি। ৪টি ম্যাচের ফল হয়নি। অর্থাৎ, ঘরের মাঠে বিরাটদের জয়ের পরিসংখ্যান ৫০ শতাংশেরও কম, যা আইপিএলের সব দলের মধ্যে সব থেকে খারাপ। সোমবার খেলতে নামার আগে সেই চিন্তা থাকবে কোহলিদের।
বেঙ্গালুরুতে অ্যাওয়ে দলের বেশি জেতার প্রধান কারণ মাঠের ছোট বাউন্ডারি। ফলে চিন্নাস্বামীতে বড় রান করেও হারতে হয় দলকে। তা ছাড়া এই মাঠের পিচে বাউন্স বেশি থাকায় বিদেশি ক্রিকেটারেরা সুবিধা পান। পেসারেরাও বাড়তি সুবিধা পান। প্রতিটি দল ঘরের মাঠের পিচ অনুযায়ী নিজেদের দল তৈরি করে। সেই সুবিধা চিন্নাস্বামীতে কোহলিরা পান না। তাই এই মাঠে তাঁদের পরিসংখ্যান খারাপ।
প্রথম ম্যাচে ফাফ ডুপ্লেসি, অনুজ রাওয়াত ও দীনেশ কার্তিক ছাড়া বেঙ্গালুরুর কোনও ব্যাটার রান পাননি। ঘরের মাঠে কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল রান না পেলে সমস্যা বাড়বে তাদের। কারণ, প্রতিপক্ষ পঞ্জাব কিংস নিজেদের প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়েছে। দলের ব্যাটারেরা ফর্মে রয়েছেন। তাই বড় রান করতে না পারলে সমস্যায় পড়তে পারে বেঙ্গালুরু।
আইপিএলের মুখোমুখি সাক্ষাতে এগিয়ে রয়েছে পঞ্জাব। দু’দল মোট ৩১টি ম্যাচ খেলেছে। বেঙ্গালুরু জিতেছে ১৪টি। পঞ্জাব ১৭টি। গত চার মরসুমের মধ্যে তিন বার প্লে-অফে গিয়েছে বেঙ্গালুরু। পঞ্জাব এক বারও পারেনি। তার পরেও গত চার মরসুমে সাত বারের সাক্ষাতে পাঁচ বার জিতেছে পঞ্জাব। বেঙ্গালুরু মাত্র দু’বার। সেই কারণেই বেঙ্গালুরুর সামনে চ্যালেঞ্জ কঠিন।
বেঙ্গালুরু-পঞ্জাব ম্যাচ শুরু হবে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে। টেলিভিশনে এই খেলা দেখা যাবে স্টার স্পোর্টস চ্যানেলে। তা ছাড়া জিয়ো সিনেমা অ্যাপেও দেখা যাবে খেলা।