সোজাসাপ্টা: এক অনুষ্ঠানে সাকিব। ছবি: শৌভিক দে
বেন স্টোকসের বিধ্বংসী ইনিংস তিনি পুরোটা দেখেছেন। সঠিক সময় রাইজিং পুণে ফর্ম খুঁজে পেলেও তিনি মনে করিয়ে দিলেন এক সপ্তাহ আগের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের ছবি। যখন রবিন উথাপ্পা আর গৌতম গম্ভীরের পার্টনারশিপ পুণের মাটি থেকে ছিনিয়ে আনে জয়।
তিনি— সাকিব আল হাসান। কলকাতার এক অনুষ্ঠানে সাকিব বলছেন, ‘‘কয়েক দিন আগেই আমরা পুণেকে হারিয়েছি। আশা করছি সেটা আমাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাবে। তার উপর আবার ইডেনে খেলব আমরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমরা সফল ইডেনে।’’ পুণেকে সমীহ করে আবার সাকিব বলছেন, ‘‘আইপিএল মানেই তো এমন একটা লিগ যেখানে যে কোনও দলই যে কোনও দলকে হারাতে পারে। লিগ টেবলের প্রথম ও শেষ দলের মধ্যে পয়েন্ট পার্থক্যও বেশি নেই,’’ বলছেন সাকিব।
স্টোকসকে নিয়ে কি চিন্তিত কেকেআর? গুজরাতের বিরুদ্ধে স্টোকসকে নিয়ে কি আলাদা প্ল্যানিং হয়েছে? ‘‘স্টোকসের ইনিংস টিভিতে দেখেছি। প্রতিটা ম্যাচের আগেই টিম মিটিং হয়। সেখানে সব কিছু নিয়েই আলোচনা হবে,’’ বলছেন সাকিব। শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হারতে হয় নাইটদের। বাংলাদেশ অলরাউন্ডার অবশ্য বলছেন, ‘‘ডেভিড ওয়ার্নারের ইনিংসটা আমার দেখা আইপিএলের সেরা ইনিংসের মধ্যে একটা। রিজার্ভে বসে এ রকম ইনিংস দেখা খুব কষ্টকর। আমাদের লক্ষ্য বাকি ম্যাচ থেকে জয় তুলে আনা।’’
আরও পড়ুন: পাঁচ জয়ের ছন্দ নিয়ে ঝাঁপাতে চান স্মিথ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিতে ৪ মে ইংল্যান্ড রওনা হচ্ছেন সাকিব। গত কয়েক মরসুমে নাইটদের অন্যতম সেরা অস্ত্র এ বার অর্ধেক সময় রিজার্ভে বসেই কাটিয়েছেন। তাতেও কোনও আক্ষেপ নেই সাকিবের। ‘‘আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। আইপিএলে অনেক বিদেশি ক্রিকেটাররা খেলে। টিম কম্বিনেশন অনুযায়ী দল বাছতে হয়। আমি মনে করি যারা খেলছে তাদের যেমন দলকে সাহায্য করা উচিত আবার যারা খেলছে না তাদেরও তৈরি থাকা উচিত,’’ বলছেন দু’বার আইপিএল জয়ী ক্রিকেটার।
গম্ভীরের অধিনায়কত্বে খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন সাকিব। ‘‘গত সাত বছর ধরে গম্ভীরের অধিনায়কত্বে খেলছি। অর্ধেক সময় তো দল প্রথম চারে থেকেছে। দু’বার চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে ও কত ভাল ক্যাপ্টেন,’’ বলছেন সাকিব।
শেষ পর্যন্ত দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন না সাকিব। তাতেও হাসতে হাসতে অনুষ্ঠান শেষে সাকিব জানিয়ে দিলেন তাঁর একটাই ইচ্ছা— তিন নম্বর আইপিএল জিতুক কেকেআর।