শনিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচে এসে মাস্টার ব্লাস্টার আবেগাপ্লুত। ম্যাচের মাঝে কেক কাটলেন তিনি। ছবি: আইপিএল।
আর দু’দিন পরেই তাঁর জন্মদিন। বাকি সব জন্মদিনের থেকে এ বারেরটা একটু আলাদা। কারণ এ বার তিনি পা দেবেন ৫০-এ। মাঠের বাইরেও অর্ধশতরান হয়ে যাবে সচিনের। তার আগে শনিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচে এসে মাস্টার ব্লাস্টার আবেগাপ্লুত। ম্যাচের মাঝে কেক কাটলেন তিনি।
সচিনের জন্যে মাঠের ধারেই কেক এনে রাখা হয়েছিল। ছুরি দিয়ে কেক কাটার পর সচিনকে কেক খাইয়ে দেন দু’জন। তবে মুম্বইয়ের হয়ে এ দিন নামা অর্জুন তেন্ডুলকর সেখানে ছিলেন না। মুম্বইয়ের অনেক ক্রিকেটারই সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছিলেন সচিন কেক কাটার সময়।
পরে ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীকে হাসতে হাসতে সচিন বললেন, “এটাই আমার জীবনের মন্থরতম অর্ধশতরান। আগে কোনও দিন এত দেরি করে ৫০ করিনি।” ভারতের প্রাক্তন কোচ শাস্ত্রীও তা শুনে হাসতে থাকেন।
সচিন আরও বলেন, “১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন শুরু হয়েছিল। ভারতের হয়ে এত বছর খেলতে পেরে ভাগ্যবান। ১৯৮৯ থেকে খেলা শুরু করার পর এখন ২০২৩, ৩৪ বছর ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত। এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে ভাল সময়। যেটা চেয়েছিলাম সেটাই হয়েছে।”
আধুনিক ক্রিকেট এবং আইপিএল নিয়েও কথা বলেন সচিন। তাঁর কথায়, “এখনকার ক্রিকেট অনেক বদলেছে। আগের থেকে দ্রুতগতিতে খেলা হচ্ছে। পাশাপাশি আইপিএলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের সুবিধাও পাওয়া যাচ্ছে। আগের থেকে প্রতি ইনিংসে অন্তত ২০-২৫ রান বেশি উঠছে। অনেক দলই ২০০-র কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে।”
দু’দিন আগেই সচিনের জন্মদিন পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষের তরফে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়িটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, স্টেডিয়ামের প্রতিটি আসনে রাখা থাকবে সচিনের মুখোশ। মাঠের ৩৩ হাজার ক্রিকেটপ্রেমীকে অনুরোধ করা হয় সচিনের জন্য বিশেষ মুখোশটি পরার জন্য। তা হলে, সে সময় সচিন যে দিকেই তাকাবেন শুধু নিজেকে দেখতে পাবেন।
ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যও ছিল বিশেষ আকর্ষণ। সচিনের সঙ্গে নিজস্বী তুলেছেন তাঁরা। স্টেডিয়ামের বাইরে একটি জায়গায় রাখা ছিল প্রমাণ মাপের সচিনের অবয়ব। সেখানে ছবি তুলেছেন মুম্বই-পঞ্জাব ম্যাচ দেখতে আসা ক্রীড়াপ্রেমীরা।