বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
আইপিএল থেকে বিদায় পঞ্জাব কিংসের। এর আগে বিদায় নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এ বার পঞ্জাবেরও প্লে-অফে ওঠার আশা শেষ হয়ে গেল। জিতে এখনও টিকে রইল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বৃহস্পতিবার বিরাট কোহলির ব্যাটে ভর করে ৬০ রানে জিতল তারা।
প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু ২৪১ রান করে। সেই রান তাড়া করতে নেমে পঞ্জাব ১০ উইকেট হারায় ১৮১ রানে। তিন ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় বেঙ্গালুরু।
টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পঞ্জাবের অধিনায়ক স্যাম কারেন। শিখর ধাওয়ান এখনও চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে পারেননি। তাই কারেনই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ প্রশ্নকর্তার নাম বিরাট কোহলি।
বৃহস্পতিবার ৪৭ বলে ৯২ রান করেন বিরাট। শতরান যখন মনে হচ্ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা, তখনই আরশদীপ সিংহের বলে স্লাইস করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলেন রিলি রুসোর হাতে। শূন্য এবং ১০ রানের মাথায় ক্যাচ দিয়েছিলেন বিরাট। কিন্তু তা ধরতে পারেননি পঞ্জাবের ফিল্ডারেরা। সেই সুযোগ নিয়ে বিরাট শেষ করলেন ৯২ রানে।
বিরাট রান পেলেও বৃহস্পতিবার রান পাননি ফ্যাফ ডুপ্লেসি (৯) এবং উইল জ্যাকস (১২)। উল্টো দিক থেকে বিরাট যদিও আগ্রাসী ব্যাটিং করে গেলেন। মাঝে শিলাবৃষ্টি হয়। বন্ধ ছিল খেলা। ব্যাট হাতে বিরাটেরা ফিরতেই আবার শুরু করে দেন বাউন্ডারির ফুলঝুরি।
বিরাটের সঙ্গী হন রজিত পাটীদার। ২৩ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। বিরাটকে সঙ্গ দেন ক্যামেরন গ্রিনও। তিনি ২৭ বলে ৪৬ রান করেন। শেষ বেলায় নেমে ৭ বলে ১৮ রান করে যান দীনেশ কার্তিক। তাতেই বেঙ্গালুরুর ইনিংস পৌঁছে যায় ২৪১ রানে।
এত বড় রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে জেতা কঠিন। কিন্তু দলটার নাম পঞ্জাব। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ২৬১ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। তাই ২৪১ রান কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না তাদের জন্য। আর এ বারের আইপিএলে বেঙ্গালুরুর বোলিংয়ের যে প্রদর্শনী দেখা গিয়েছে, তাতে আশা ছিল পঞ্জাব সমর্থকদের।
পঞ্জাব শুরুটাও করেছিল আশা জাগিয়ে। পাওয়ার প্লে-তেই ৭০ রানের উপর তুলে নেয় তারা। তবে দুই ওপেনার প্রভসিমরন সিংহ (৬) এবং জনি বেয়ারস্টো (২৭) আউট হয়ে যান। রিলি রুসো এবং শশাঙ্ক সিংহ দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন। তাঁরা বড় রানের জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ২৭ বলে ৬১ রান করে আউট হয়ে যান রুসো। তার পরেই পঞ্জাবের মিডল অর্ডার ধাক্কা খায়। ব্যর্থ হন জীতেশ শর্মা (৫) এবং লিয়াম লিভিংস্টোন (০)। অধিনায়ক কারেন ২২ রান করেন। কিন্তু দলকে জয়ের কাছাকাছিও নিয়ে যেতে পারেননি।
বেঙ্গালুরুর হয়ে তিনটি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। তিনটি উইকেটই যদিও পঞ্জাবের লোয়ার অর্ডারের। দু’টি করে উইকেট নেন স্বপ্নিল সিংহ, লকি ফার্গুসন এবং কর্ণ শর্মা। বিরাটের ব্যাট হাতে দাপটে পরে ম্যাচ জেতান তাঁরাই। টানা চারটি ম্যাচ জিতে নিল বেঙ্গালুরু। প্লে-অফে ওঠার আশা এখনও বেঁচে রয়েছে তাদের। কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়।