IPL 2024

রিঙ্কুর হাতে পাঁচ ছক্কা খেয়ে খলনায়ক হয়েছিলেন, নায়ক যশের সাফল্যে ঈশ্বরবন্দনা সিংহের

যে যশকে পাঁচটি ছক্কা মেরে খ্যাতনামী হয়েছিলেন, তাঁরই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রিঙ্কু। শনিবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু বোলারের পারফরম্যান্স দেখে কুর্নিশ জানিয়েছেন কেকেআর ব্যাটার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৪ ১০:৫৩
Share:

রিঙ্কু সিংহ। — ফাইল চিত্র।

যশ দয়ালকে পর পর পাঁচটি ছয় মেরে প্রচারের আলোয় উঠে এসেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু সিংহ। গত বছর আইপিএলে রিঙ্কুর কাছে মার খাওয়ার পর কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি হতাশ যশ। গুজরাত সমর্থকদের কাছে কার্যত খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই বোলারই শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বেঙ্গালুরুর জয়ের অন্যতম নায়ক। ঘরোয়া ক্রিকেটে সতীর্থের বোলিং দেখে উচ্ছ্বসিত রিঙ্কু।

Advertisement

শনিবার শেষ ওভারে চেন্নাই ১৮ রান করতে পারলেই প্লে-অফে উঠত। ক্যামেরন গ্রিনের মতো বোলারের ২ ওভার বাকি থাকলেও আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি আস্থা রেখেছিলেন যশের উপর। শেষ ওভারে তাঁকে বল করতে আসতে দেখে ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ বিস্মিত হন। যদিও আসল বিস্ময় তখনও বাকি ছিল। প্রথম বলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি তাঁকে বিশাল ছক্কা মারলেও দ্বিতীয় বলে যশের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন। তাঁর স্লোয়ার মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান। ধোনি সাজঘরে ফিরতেই যশ চেন্নাইয়ের শার্দূল ঠাকুর এবং রবীন্দ্র জাডেজাকে কার্যত বোতলবন্দি করে ফেলেন। শেষ চার বলে দেন মাত্র ১ রান। খেলা শেষ হতেই যশকে নিয়ে মেতে ওঠেন বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটারেরা।

গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ।

তেমনই ঘরোয়া ক্রিকেটে সতীর্থের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বাস গোপন করতে পারেননি রিঙ্কুও। সমাজমাধ্যমে বন্ধুর প্রশংসা করেছেন তিনি। যশের উচ্ছ্বাসের ছবি দিয়ে রিঙ্কু যা লিখেছেন তার অর্থ হল, ‘‘ঈশ্বরের এমনই ইচ্ছা ছিল।’’ সঙ্গে দিয়েছেন নমস্কার এবং কুর্নিশের ইমোজি। গত মরসুমে কেকেআরের বিরুদ্ধে যশ শেষ ওভারে ২৮ রান আটকাতে পারেননি রিঙ্কুকে পেয়ে। তিনিই শনিবার ধোনি, জাডেজার মতো ক্রিকেটারদের ১৮ রান তুলতে দেননি।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে রিঙ্কুর পোস্ট। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে।

যশকে এ বছর রাখেনি গুজরাত টাইটান্স। নিলামে তাঁকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছিল বেঙ্গালুরু। আরসিবি কর্তৃপক্ষ যে ভুল করেননি, তা শনিবার চিন্নাস্বামীতে প্রমাণ করে দিয়েছেন যশ। মর্যাদা দিয়েছেন অধিনায়কের আস্থারও। এমন দিনে বন্ধুর প্রশংসা না করে কী আর থাকতে পারেন রিঙ্কু! আইপিএলে প্রতিপক্ষ হলেও সারা বছর তো এক সাজঘরেই কাটান তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement