(বাঁ দিকে) ম্যাচ জিতে বিরাট কোহলির উচ্ছ্বাস, (ডান দিকে) হতাশ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের দরকার ছিল শুধু জয়। অন্য দিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দরকার ছিল অঙ্ক কষে জয়। প্লে-অফের অঙ্ক মিলিয়ে আইপিএলের শেষ চারে পৌঁছে গেলেন বিরাট কোহলিরা। বিদায় নিতে হল মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের।
ভারতীয় ক্রিকেটের দুই তারকার লড়াই হিসাবে আগেই চিহ্নিত হয়ে গিয়েছিল শনিবারের ম্যাচ। ক্রিকেটপ্রেমীরা কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। যশ দয়াল চেন্নাইয়ের ইনিংসের শেষ বলটি করতেই কোহলির বিরাট উচ্ছ্বাস দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। শুধু উচ্ছ্বাস নয়, আনন্দে-আবেগে চোখের কোণও ভিজে গেল কোহলির। গ্যালারিতে কাঁদলেন তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাও।
কাঙ্ক্ষিত জয় আসতেই চিন্নাস্বামীর মাঠে কোহলির দৌড়ের মধ্যে ছিল মুক্তির ছোঁয়া। একটা সময় প্রথম দল হিসাবে আইপিএলের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল আরসিবির। সেখান থেকে টানা ছয় ম্যাচে জয়ের পর কোহলি যেন ডানা মেলে উড়লেন মাঠে।
মুদ্রার অন্য পিঠও চোখ এড়ায়নি ক্রিকেট জনতার। দলকে আইপিএলের প্লে-অফে তুলতে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন ৪২ বছরের ধোনিও। ২০তম ওভারের প্রথম বলে যশকে মারা বিশাল ছক্কাটায় তাঁর পরিচিত সিংহ মেজাজ ধরা পড়েছিল। তাঁর ছক্কায় বেঙ্গালুরুর শিবিরে যেমন শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তেমনই আশার আলো জ্বলেছিল চেন্নাইয়ের ডাগআউটে। স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মুখ চকচক করছিল ধোনির ছক্কার পর। পরের বলে আবার ছক্কা মারার চেষ্টা করতে গিয়ে ধোনি ধরা পড়ে গেলেন বাউন্ডারির লাইনের কাছে থাকা স্বপ্নিল সিংহের হাতে। মুহূর্তে বদলে গেল দুই শিবিরের ছবি। হতাশায় ব্যাটে ঘুষি মারলেন ধোনি। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হয়তো তখনই ভবিতব্য পড়ে ফেলেছিলেন।
ধোনি যখন হতাশ হয়েছেন, তখনই উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে কোহলিকে। আবার কোহলির হতাশায় স্বস্তি পেয়েছেন ধোনি। টান টান ম্যাচে ক্রমাগত বদলেছে দুই ক্রিকেটারের মুখের অবয়ব। তাঁদের সঙ্গে বদলেছে চিন্নাস্বামীর আবহ। শেষে ধোনি হাসেননি। বিরাটও না। কোহলির চোখের জলেই হয়তো ছিল সিংহের বিদায় বার্তা।