বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
১৪টি ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৭০৮ রান। কমলা টুপি আপাতত তাঁরই মাথায়। আইপিএলেও শেষেও তিনিই কমলা টুপির মালিক থাকবেন তা মোটামুটি নিশ্চিত। স্ট্রাইক রেট ১৫৫.৬০। তার পরেও সমালোচনা হয় বিরাট কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে। বুধবার আইপিএলের এলিমিনেটর খেলতে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নামবে বিরাটের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের পরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে বিরাট জানালেন, মাঠে নেমে কোন মানসিকতা নিয়ে খেলেন তিনি।
সম্প্রচারকারী চ্যানেলের একটি ভিডিয়োতে মুখ খুলেছেন কোহলি। তিনি বলেন, “আমি সব কিছু খুব সহজ রাখি। বেশি জটিল করতে চাই না। পরিসংখ্যান নিয়ে বিশেষ ভাবি না। কোন বোলারের কব্জি কেমন থাকে, কোথায় বল পড়ে তা নিয়ে আগে থেকে বিশ্লেষণ করতে যাই না। কারণ, আমি জানি, ম্যাচের দিন সেই বোলার অন্য কিছু করার চেষ্টা করতে পারে। তার জন্য আমাকে তৈরি থাকতে হবে। মাঠে নেমে পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে বদলাতে হবে।”
কোহলি জানিয়েছেন, পরিসংখ্যানের দিকে নজর না দিয়ে নিজের উপস্থিত বুদ্ধির উপর ভরসা করেন তিনি। কোহলি বলেন, “মাঠে নেমে প্রতিটা চ্যালেঞ্জের সমাধান করতে হয়। তাই আগে থেকে বেশি ভাবি না। নিজের উপস্থিত বুদ্ধির উপর ভরসা রাখি। বল যে ভাবে আসছে সে ভাবে খেলার চেষ্টা করি।”
এখন ক্রিকেটে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। কোনও ব্যাটার বা বোলারের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে বিশ্লেষণ করা সহজ হয়। কিন্তু বিরাট নিজে প্রযুক্তির উপর খুব একটা নির্ভর করেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। বিরাট বলেন, “কম্পিউটার তো মাঠে নেমে আপনার হয়ে খেলবে না। তাই কোনও বোলারের শক্তি-দুর্বলতার কথা না ভেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। তার একমাত্র উপায় অনুশীলন। ব্যাটিংয়ের ভিত ঠিক রাখতে হবে। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। তা হলে তিনটে ফরম্যাটেই ভাল ফল করা যাবে।”
টানা ছ’টি ম্যাচ জিতে আইপিএলের প্লে-অফে উঠেছে বেঙ্গালুরু। তবে ফাইনালে উঠতে হলে এখনও দু’টি ম্যাচ জিততে হবে তাদের। সেই লক্ষ্যেই রাজস্থানের বিরুদ্ধে নামছেন কোহলিরা।