মাঠে দুই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়লেন বিরাট কোহলি। পাশে দাঁড়িয়ে ফ্যাফ ডুপ্লেসি। ছবি: আইপিএল।
লক্ষ্য ২২৩ রানের। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে জিততে হলে বিরাট কোহলির ক্রিজ়ে থাকা প্রয়োজন ছিল। বিরাট নিজেও সেটা জানতেন। তাই আউট হয়েও কিছুতেই মানতে পারছিলেন না। নো বলের দাবি করতে থাকেন তিনি। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পরেও মাঠের আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন কমলা টুপির মালিক। ডাগআউটে ফিরেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
তৃতীয় ওভারে বল করছিলেন হর্ষিত রানা। তাঁর প্রথম বলটি খেলার সময় ক্রিজ়ের বাইরে ছিলেন বিরাট। বল সোজা ব্যাটে এসে লাগে। সেই বল সঙ্গে সঙ্গে লুফে নেন বোলার হর্ষিত। কিন্তু বিরাট ক্রিজ় ছাড়তে চাননি। তাঁর দাবি, বল কোমরের উপরে ছিল। তাই নো বলের দাবি করেন বিরাট। রিভিউও নেওয়ার ইঙ্গিত করেন। যদিও মাঠের আম্পায়ারেরা রিভিউ নেন নিজে থেকেই। নো বল কি না নিশ্চিত হতে চান তাঁরা। তৃতীয় আম্পায়ার দেখেন বিরাটের কোমরের নিচেই রয়েছে বল। ফলে নো বল দেননি তিনি। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। তাতেই রেগে যান বিরাট।
বিরাটকে দেখা যায় বেশ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে আম্পায়ারদের দিকে এগিয়ে যেতে। কিছুতেই মানতে চাইছিলেন না যে, তিনি আউট। বার বার মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক করেন বিরাট। বেশ ক্ষোভ দেখিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ডাগআউটে গিয়েও ক্ষুব্ধ বিরাটকে দেখা যায়, সতীর্থদের বলের উচ্চতা বোঝাচ্ছেন।
কোমরের উপরে বল রয়েছে কি না সেটা বোঝার জন্য নতুন একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিটি ক্রিকেটারের কোমরের মাপ দেওয়া রয়েছে প্রযুক্তির কাছে। বল কোন উচ্চতায় রয়েছে সেটাও মেপে নেওয়া হবে ওই প্রযুক্তি দিয়েই। সঙ্গে সঙ্গে দেখা নেওয়া যাবে বল সেই ক্রিকেটারের কোমরের উপরে রয়েছে না নীচে। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে ধারাভাষ্যকারেরা বলেন, বিরাটের কোমরের উচ্চতা মাটি থেকে ১.০৪ মিটার। বল ছিল ১.০২ মিটারের উচ্চতায়। অর্থাৎ কোমরের নীচেই ছিল বল। সেই সঙ্গে বিরাট ক্রিজ়ের বাইরে ছিলেন। ফলে তৃতীয় আম্পায়ার জানিয়ে দেন বিরাটের আউট ন্যায্য।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা ২২২ রান তোলে। ওপেনার ফিল সল্ট করেন ৪৮ রান। মাত্র ১৪ বলে এই রান করেন তিনি। তিনটি ছক্কা এবং সাতটি চার মারেন সল্ট। অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার ৩৬ বলে ৫০ রান করেন। শেষ বেলায় রমনদীপ সিংহ ৯ বলে ২৪ রান করেন। তাঁদের দাপটেই ইডেনে ২২২ রান করে কেকেআর।
বিরাট যখন আউট হন, আরসিবি-র তখন ২৭ রান। ৩৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ফ্যাফ ডুপ্লেসিও। ১০ ওভার শেষে আরসিবি তুলেছে ১২২ রান। উইল জ্যাকস এবং রজত পাটীদার মিলে ৮৭ রানের জুটি গড়ে ফেলেছেন।