দলের পর পর হারে হতাশ পন্টিং, সৌরভরা। ছবি: আইপিএল।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধেও জিততে পারল না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি ক্যাপিটালস। সঞ্জু স্যামসনের দলের কাছে ডেভিড ওয়ার্নাররা হারলেন ৫৭ রানে।
প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান করে ৪ উইকেটে ১৯৯ রান। জবাবে দিল্লির ইনিংস শেষ হল ৯ উইকেটে ১৪২ রানে।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক ওয়ার্নার। রাজস্থানের দুই ওপেনারের দাপটে তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আঙুলের চোট নিয়েই অনবদ্য ব্যাটিং করলেন জস বাটলার। তাঁর সঙ্গে ওপেন করতে নেমে মানানসই ইনিংস খেললেন যশস্বী জয়সওয়াল। রাজস্থানের দুই ওপেনার বাটলার এবং যশস্বীকে থামাতেই পারলেন না দিল্লির বোলাররা। বাটলার ৫১ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেললেন। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১১টি চার এবং ১টি ছক্কা। সমসংখ্যক চার এবং ছয় মেরে ৩১ বলে ৬০ রান করলেন যশস্বী। প্রথম উইকেটের জুটিতে তাঁরা তুললেন ৯৮ রান। যদিও রান পেলেন না রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (শূন্য)। তাঁকে আউট করলেন কুলদীপ যাদব। দলকে ভরসা দিতে পারেননি চার নম্বরে নামা রিয়ান পরাগও। গুয়াহাটির মাটিতে অসমের ব্যাটারের ব্যাট থেকে এল ৭ রান। শেষ দিকে রাজস্থানের ইনিংসকে টানলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের শিমরন হেটমায়ের। তিনি অপরাজিত থাকলেন ২১ বলে৩৯ রান করে। ১টি চার এবং ৪টি বিশাল ছক্কা মারলেন তিনি।
দিল্লির হয়ে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিলেন বাংলার ক্রিকেটার মুকেশ কুমার। তিনিই শনিবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের সফলতম বোলার। ৩৬ রান দিয়ে মুকেশ আউট করলেন রাজস্থানের দুই ওপেনারকে। ১৮ রানে ১ উইকেট রভম্যান পাওয়েলের। ৩১ রানে ১ উইকেট কুলদীপের।
২০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধস নামল দিল্লির ইনিংসে। ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারায় তারা। ওয়ার্নার ছাড়া উইকেটে দাঁড়াতেই পারলেন না উপরের দিকের ব্যাটাররা। ওয়ার্নার করলেন ৫৫ বলে ৬৫ রান। মারলেন ৭টি চার। ওপেন করতে নেমে পৃথ্বী শ এবং তিন নম্বরে নামা মণীশ পাণ্ডে আউট হলেন কোনও রান না করেই। ব্যর্থ চার নম্বরে নামা রিলি রুসোও (১৪)। ওয়ার্নারকে কিছুটা সঙ্গ দিলেন ললিত যাদব। তিনি ৫টি চারের সাহায্যে করলেন ২৪ বলে ৩৮ রান। কিন্তু লাভের লাভ হল না অক্ষর পটেল (২), পাওয়েল (২), অভিষেক পোড়েলরা (৭) পর পর সাজঘরে ফিরে যাওয়ায়।
রাজস্থানের সফলতম যুজবেন্দ্র চহাল। তিনি ২৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নিলেন। নিউ জ়িল্যান্ডের জোরে বোলার ট্রেন্ট বোল্ট ২৯ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ২৫ রানে ২ উইকেট রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।