IPL 2024

ঘরের মাঠে আবার জিতল ঘরের দলই, দিল্লিকে ১২ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিল সঞ্জুর রাজস্থান

শেষ ওভারে জয়ের জন্য দিল্লির দরকার ছিল ১৭ রান। মাত্র ৪ রান দিলেন আবেশ খান। ম্যাচ জিতে নিল রাজস্থান রয়্যালস। আবেশ একের পর ইয়র্কার করে রান আটকে দেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ২৩:২৬
Share:

দিল্লিকে হারিয়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস। ছবি: পিটিআই।

যে দলের মাঠে খেলা, সেই দলের জয়। আইপিএলের প্রথম ন’টি ম্যাচেই তাই হল। দিল্লি ক্যাপিটালস আরও একটি ম্যাচে হেরে গেল। জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালস নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নিল। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান ১৮৫ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১৭৩ রানে।

Advertisement

দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থ টস জিতে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন পরে ব্যাট করার সুবিধা নেবেন। কারণ জয়পুরের মাঠে পরে বল করলে স্পিনারদের অসুবিধা হয় শিশিরের কারণে। কিন্তু বৃহস্পতিবার তেমনটা হল না। কারণ উল্টো দিকে যুজবেন্দ্র চহালের মতো এক জন স্পিনার ছিলেন। ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। বল হাতে রাজস্থানকে জেতানোর নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিলেন চহাল।

ব্যাট করতে নেমে যদিও শুরুতেই যশস্বী জয়সওয়াল, জস বাটলারদের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে রাখেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রিয়ান পরাগেরা। শুরুতেই তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর অশ্বিনকে নামিয়ে দিয়েছিল রাজস্থান। সেই ফাটকা কাজে লেগে যায়। বড় শট খেলে দলের উপর থেকে চাপটা কাটিয়ে দেন অশ্বিন। যা পরাগ এবং ধ্রুব জুরেলকে দ্রুত রান তুলতে সাহায্য করে।

Advertisement

এ দিন দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথম একাদশে রেখেছিল মুকেশ কুমারকে। বাংলার পেসার নিজের প্রথম ওভারেই যশস্বীর (৫) স্টাম্প উড়িয়ে দেন। এর পরেই একে একে সাজঘরে ফিরে যান সঞ্জু স্যামসন (১৫) এবং বাটলার (১১)। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারায় রাজস্থান। সেই সময় অশ্বিনকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ১৯ বলে ২৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন ভারতীয় স্পিনার। তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। এর মধ্যে দু’টি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার এনরিখ নোখিয়ের বিরুদ্ধে।

অশ্বিনের সেই ইনিংসের ফলে চাপ কেটে যায় তরুণ পরাগের উপর থেকে। তিনি দ্রুত রান তুলতে শুরু করলেন। পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেনি রাজস্থান। তাতে কোনও প্রভাব পড়ল না। শেষ ওভারে নোখিয়ের বলে পরাগ নিলেন ২৫ রান। নিজে ৪৫ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত রইলেন। জুরেল ১২ বলে ২০ রান করে সঙ্গে দেন তাঁকে। শিমরন হেটমেয়ার ৭ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।

গত বারের আইপিএলে রাজস্থানের হয়ে বড় ইনিংস খেলতে দেখা গিয়েছিল যশস্বী এবং বাটলারকে। কিছু ম্যাচে রান করেন সঞ্জুও। অনেকের মতে এই তিন ক্রিকেটার রান না পেলে রাজস্থান বড় রান তুলতে পারে না। বৃহস্পতিবার অন্য রাজস্থানকে দেখা গেল। মিডল অর্ডারের দাপটে বড় রান তুলল রাজস্থান।

সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি দিল্লির। মিচেল মার্শ আউট হয়ে যান ২৩ রান করে। রিকি ভুঁই রান পাননি। পন্থ মাত্র ২৮ রান করেন। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৪৯ রান করেন। তিনিই দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আবেশ খান তাঁকে আউট করেন। বাংলার অভিষেক পোড়েল এই ম্যাচে রান পাননি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নেমে করেন মাত্র ৯ রান।

শেষ বেলায় দিল্লির জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ট্রিস্ট্রিয়ান স্টাবস এবং অক্ষর পটেল। তাঁরা দলকে জেতানোর চেষ্টা করছিলেন। বড় শট খেলছিলেন। কিন্তু শেষ তিন ওভারেই অসাধারণ বল করেন আবেশ এবং সন্দীপ শর্মা। শেষ ওভার করেন আবেশ। দিল্লির জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। আবেশ দিলেন মাত্র ৪ রান। ইয়র্কার করে ম্যাচ জেতালেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement