শনিবার মুম্বই পৌঁছনোর পর নীতীশ, রিঙ্কু, বেঙ্কটেশরা। ছবি: কেকেআর।
আইপিএলের চারটি ম্যাচ খেলার পরেও ওপেনিং নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রতি ম্যাচেই শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাচ্ছে কলকাতা। রবিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে সঠিক ওপেনিং জুটি বেছে নেওয়াই প্রধান চ্যালেঞ্জ নাইট কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কাছে।
প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন আন্দ্রে রাসেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডার একদমই ছন্দে নেই ব্যাট হাতে। বল হাতে ইডেনে ৩ উইকেট নিলেও চোট পাওয়ায় পুরো কোটার বল করতে পারেননি। নিজের তৃতীয় ওভারের প্রথম বল করার পরেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ব্যাটিং ছন্দ এবং চোটের জন্য মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর খেলার সম্ভাবনা প্রায় নেই। তাঁর জায়গায় অন্য এক বিদেশি আসবেন প্রথম একাদশে।
আফগানিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ় ইডেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হলেও ভাল ছন্দে রয়েছেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও তাঁর খেলা এক রকম নিশ্চিত। দ্বিতীয় ওপেনার হিসাবে কেউই তেমন ভরসা দিতে পারছেন না। তাই প্রথম একাদশে দরজা খুলতে পারে আর এক বিদেশির। রোহিত শর্মার দলের বিরুদ্ধে আইপিএলে অভিষেক হতে পারে লিটন কুমার দাসের। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দেশের হয়ে ওপেন করেন। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারেন। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রথম একাদশে দেখা যেতে পারে। রাসেলের পরিবর্ত হিসাবে খেলতে পারেন লিটন। তাঁর বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসাবে খেলার সম্ভাবনাই বেশি রবিবার।
ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বর জায়গায় আসতে পারেন বেঙ্কটেশ আয়ার। ধারাবাহিক রান না পেলেও ছন্দে রয়েছেন তিনি। তা ছাড়া তিনি থাকলে উপরের দিকে এক জন বাঁহাতি ব্যাটার পাবে কলকাতা। কোচ পণ্ডিতেরও আস্থা রয়েছে বেঙ্কটেশের উপর। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর খেলেও প্রায় নিশ্চিত। ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরে আসতে পারেন নারায়ণ জগদীশন। ওপেনিংয়ে তেমন রান পাচ্ছেন না। যদিও ইডেনে শুরুটা খারাপ করেননি তিনি। তাঁকে আরও একটা ম্যাচে সুযোগ দিতে পারে কেকেআর। ওপেনিংয়ের বদলে তাঁকে দেখা যেতে পারে চার নম্বরে। তাতে ব্যাটিং অর্ডারের ডানহাতি এবং বাঁহাতি কম্বিনেশন ভাল হবে।
ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে আসতে পারেন অধিনায়ক নীতীশ রানা। ইডেনে দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর তাঁর ব্যাটিং অর্ডার অপরিবর্তিত রাখা হতে পারে। ছয় নম্বরে আসতে পারেন ছন্দে থাকা আর এক ব্যাটার রিঙ্কু সিংহ। নীতীশ এবং রিঙ্কু পর পর এলে প্রতিপক্ষকে কিছুটা চাপে রাখতে পারবে কলকাতা। সাত নম্বরে আসতে পারেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডার সুনীল নারাইন। তাঁর স্পিন যেমন প্রতিপক্ষকে সমস্যা ফেলতে পারে, তেমন ব্যাটও করতে পারেন আগ্রাসী মেজাজে। তাঁর প্রথম একাদশে থাকা নিয়েও প্রশ্ন নেই। আট নম্বরে আসবেন শার্দূল ঠাকুর। এই ভারতীয় ক্রিকেটারেরও ব্যাটের হাত মন্দ নয়। আইপিএলেই তা দেখা গিয়েছে। তাঁরও প্রথম একাদশে থাকা নিয়ে প্রশ্ন নেই।
ব্যাটিং অর্ডারের নয় থেকে এগারো নম্বর পর্যন্ত আসবেন তিন বিশেষজ্ঞ বোলার। এই জায়গায় পরিবর্তন হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। উমেশ যাদব, লকি ফার্গুসন এবং বরুণ চক্রবর্তী। আগের ম্যাচগুলির মতোই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে সুযশ শর্মাকে। বেঙ্কটেশের সঙ্গেই পরিবর্তন করা হতে পারে তরুণ স্পিনারকে।