(বাঁদিকে) নেহাল ওয়াধেরা এবং তিলক বর্মা। ছবি: আইপিএল।
দুই তরুণ ক্রিকেটারের ব্যাটে ভর দিয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো রান তুলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করে দেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। তার পর ২০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরেও মুম্বইকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিলেন তিলক বর্মা এবং নেহাল ওয়াধেরা। ইনিংসের শুরুতে ট্রেন্ট বোল্ট, সন্দীপ শর্মাদের দাপটে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। তবু ৯ উইকেটে ১৭৯ রান তুলল মুম্বই।
মুম্বইয়ের ইনিংসের শুরুতেই পর পর আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা (৬), ঈশান কিশন (শূন্য) এবং সূর্যকুমার যাদব (১০)। বড় রান পেলেন না পাঁচ নম্বরে নামা মহম্মদ নবিও। আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার করলেন ১৭ বলে ২৩ রান। মারলেন ২টি চার এবং ১টি ছয়। ৫২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মুম্বইয়ের ইনিংসের হাল ধরেন তিলক এবং নেহাল। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা নেহালের ব্যাট থেকে এল ২৪ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। মারলেন ৩টি চার এবং ৪টি ছয়। মাত্র ১ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও বোল্টের বলে আউট হওয়ার আগে তিলকের সঙ্গে ৯৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তোলেন তিনি।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ইনিংসকে ভরসা দিলেন মূলত তিলক। চার নম্বরে নেমে ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শেষ পর্যন্ত। তিনি করলেন ৪৫ বলে ৬৫ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং ৩টি ছক্কা। রান পেলেন না অধিনায়ক হার্দিকও (১০)। মুম্বইয়ের শেষ দিকের ব্যাটারেরাও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি।
এই ম্যাচে নবিকে আউট করে বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলে ২০০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন যুজবেন্দ্র চহাল। ৪৮ রান খরচ করে একটিই উইকেট পেলেন লেগ স্পিনার। সফলতম সন্দীপ ১৮ রানে ৫ উইকেট নিলেন। রাজস্থানের অন্য বোলারদের মধ্যে বোল্ট ৩২ রানে ২ উইকেট, আবেশ খান ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। এ দিনও উইকেট পেলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন।