ফাইল চিত্র।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলের সফলতম দুই দলের লড়াইকে বলা হয়ে থাকে ক্রিকেটের ‘এল ক্লাসিকো’। মোট পাঁচ বার আইপিএল জিতেছে মুম্বই। চেন্নাই জিতেছে চার বার। কিন্তু চলতি মরসুমের ছবিটা বিবর্ণ। প্রতিযোগিতায় ফিরে আসার শেষ প্রচেষ্টায় মরিয়া দুই দল। টানা ছ’টি ম্যাচ হেরে আইপিএলের প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন খাদের কিনারে গিয়ে পৌঁছে গিয়েছে মুম্বইয়ের। প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে শেষ আটটি ম্যাচই জিততে হবে। অন্য দিকে চেন্নাই ছ’টি ম্যাচের মধ্যে একটি জিতেছে। আর একটি ম্যাচে হারলে তারাও পড়বে অথৈ জলে। আজ, বৃহস্পতিবার তাই মরুণ-বাঁচন ম্যাচ দুই শিবিরের কাছেই।
বুধবার ম্যাচের আগের দিন দলীয় বৈঠকে রোহিত শর্মা জানিয়ে দিয়েছেন, চেন্নাইকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া চলবে না। শেষ পর্যন্ত দাঁতে-দাঁত চেপে লড়াই করে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক। যে তথ্য সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেছেন জয়দেব উনাদকাট।
বুধবার সাংবাদিকদের উনাদকাট বলেছেন, ‘‘আইপিএলের সফলতম দুই শিবির মুখোমুখি হতে চলেছে বৃহস্পতিবার। এই প্রতিযোগিতার ‘এল ক্লাসিকো’ বলা যেতে পারে এই দ্বৈরথকে। এ রকম একটি দ্বৈরথের অন্যতম সদস্য হতে পেরে বিশেষ অনুভূতি হচ্ছে।’’ কিন্তু দু’দলের বর্তমান পরিস্থিতিকে অস্বীকার করছেন না উনাদকাট। বলে দিলেন, ‘‘চলতি আইপিএলে দু’দলই সেরা ফল পাওয়ার জন্য লড়াই করছে। একের পর এক ব্যর্থতা এই দ্বৈরথকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করে তুলেছে।’’
মুম্বই শিবিরের বোলারের সাফ বার্তা, ‘‘আমরা এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব। আশা করি, খুবই ভাল একটি ম্যাচ উপহার দেব আমরা। ভাল খেলার অপেক্ষায় রয়েছি।’’ মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা ড্রেসিংরুমে জানিয়ে দিয়েছেন, ভয় না পেলেই এই দ্বৈরথ থেকে বিজয়ী দল হিসেবে বেরিয়ে আসা সম্ভব। যা নিয়ে উনাদকাটের বক্তব্য, ‘‘অধিনায়ক আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সব কিছু দেখেছে শেষ ১৫ বছরে। একাধিক ব্যর্থতার পরেও আইপিএলের সফলতম ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি হওয়া সহজ নয়। মুম্বই আগেও দেখিয়েছে কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। এ বারও সেই চেষ্টাই করবে।’’
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে বরাবরই স্নায়ুর চাপ থাকে। সেখান থেকে যে দল দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারে, তারাই সফল হয়। উনাদকাটের কথায়, ‘‘কোনও দল পাঁচটি জিতুক অথবা সব কটাই হারুক, চাপ একই রকম থাকে।’’ যোগ করেন, ‘‘চাপের মাথায় ঠিক মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে কি না, সেটাই আসল। ভয় পেয়ে গেলে কোনও সিদ্ধান্তই ঠিক মতো নেওয়া যায় না। কিন্তু ভয় না পেলে চাপের মুখেও ভাল খেলা সম্ভব। রোহিত ভাই এটাই বলেছে। দলের প্রত্যেকে এটা মেনেই চলি।’’