দিল্লিকে হারিয়ে উল্লাস মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের। ছবি: আইপিএল।
অবশেষে জিতল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলে প্রথম জয় পেলেন হার্দিক পাণ্ড্যেরা। ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারালেন তাঁরা। প্রথমে ব্যাট করে ব্যাটারদের দাপটে ২৩৪ রান করে মুম্বই। সেই রান তাড়া করতে পারেননি ঋষভ পন্থেরা। কলকাতার পরে এ বার মুম্বইয়ের কাছেও হেরে চাপে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দিল্লি।
টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক পন্থ। কিন্তু তাঁর আশানুরূপ শুরু করতে পারেননি দিল্লির বোলারেরা। পাওয়ার প্লে-তে মারমুখী মেজাজে ছিলেন রোহিত ও ঈশান। বড় শট খেলছিলেন তাঁরা। পাওয়ার প্লে-তেই ওঠে ৭৫ রান। রোহিতকে দেখে মনে হচ্ছিল, ফর্মে ফেরার জন্য এই ম্যাচ বেছে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু অর্ধশতরান হল না রোহিতের। ২৭ বলে ৪৯ রান করে অক্ষর পটেলের বলে আউট হয়ে যান রোহিত। ছ’টি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি।
চোট সারিয়ে দীর্ঘ দিন পরে খেলতে নামেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু প্রত্যাবর্তনে রান পেলেন না তিনি। দু’বল খেলে শূন্য রানে আউট হন তিনি। রোহিত আউট হওয়ার পরে ঈশান দায়িত্ব নেন দ্রুত রান তোলার। ২৩ বলে ৪২ রান করে অক্ষরের এক হাতে ধরা ক্যাচে ফেরেন ঈশান।
হার্দিক ভাল শুরু করলেও মাঝের ওভারে দ্রুত রান করতে পারছিলেন না তিনি। তিলক বর্মাও ৬ রান করে আউট হয়ে যান। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ২০০ রান করতে সমস্যায় পড়বে মুম্বই। হার্দিক ৩৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হয়ে যান।
সেখান থেকে দলকে টানেন ডেভিড ও শেফার্ড। শেষ চার ওভারে ৮৪ রান করে মুম্বই। দুই ব্যাটারই বড় শট খেলছিলেন। ডেভিড ২১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভার পুরোটাই খেলেন শেফার্ড। আনরিখ নোখিয়েকে চারটি ছক্কা ও দু’টি চার মারেন তিনি। শেষ ওভারে আসে ৩২ রান। শেফার্ডের ব্যাটে মুম্বই ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩৪ রানে শেষ করে। ১০ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডার।
২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট শুরুতেই হারায় দিল্লি। ১০ রানের মাথায় তাঁকে আউট করেন শেফার্ড। দ্বিতীয় উইকেটে পৃথ্বী শ ও অভিষেক পোড়েল দলকে টানেন। তাঁরা দ্রুত রান করছিলেন। কিন্তু ২৩৫ রান তাড়া করতে হলে যতটা বিধ্বংসী ব্যাট করতে হত সেটা করতে পারেননি তাঁরা। অর্ধশতরান করেন পৃথ্বী। ৬৬ রান করে যশপ্রীত বুমরার বলে আউট হন তিনি। অভিষেককেও আউট করেন বুমরা। ৪১ রান করেন বাংলার ব্যাটার।
শেষ পাঁচ ওভারে জিততে দিল্লির দরকার ছিল ৯০ রান। এক দিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস। আগের ম্যাচের পরে এই ম্যাচেও নজর কাড়লেন তিনি। কিন্তু জরুরি রানরেট ক্রমাগত বাড়ছিল। চাপে পড়ে ১ রান করে আউট হয়ে যান পন্থ। স্টাবস এক দিকে হাত খুলে মারছিলেন। আরও একটি অর্ধশতরান করলেন তিনি। কিন্তু অন্য প্রান্তে কাউকে পাননি স্টাবস। একাই লড়াই করেও দলকে জেতাতে পারলেন না তিনি। ফিনিশারের অভাবে আরও এক বার ভুগতে হল দিল্লিকে।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৫ রানে শেষ হল দিল্লির ইনিংস। স্টাবস ২৫ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকলেন। ২৯ রানে ম্যাচ জিতল মুম্বই।