লোকেশ রাহুল। —ফাইল চিত্র।
এ বারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচ বাদ দিলে এখনও পর্যন্ত লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে ঝোড়ো ইনিংস দেখা যায়নি। রবিবার ঘরের মাঠে ৩৩ রান করলেন রাহুল। কিন্তু খেললেন ৩১ বল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা খুবই মন্থর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুযোগ পেতে হলে এমন ইনিংস খেললে হবে না। রাহুলের মন্থর ইনিংস ডোবাল দলকেও। লখনউ সুপারজায়ান্টস প্রথমে ব্যাট করে তুলল ১৬৩ রান।
গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছে লখনউ। সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত আউট হয়ে যান কুইন্টন ডি'কক (৬) এবং দেবদত্ত পাড়িক্কল (৭)। সেই কারণে শুরুতে বড় শট খেলতে পারছিলেন না রাহুল। কিন্তু পরে মার্কাস স্টোইনিস এসে হাত খোলেন। রাহুলের সঙ্গে মিলে ৭৩ রান যোগ করেন। রাহুল নিজেও বড় শট খেলতে না পারার চাপ নিচ্ছিলেন। আর বড় শট খেলতে গিয়েই উইকেট দিয়ে এলেন।
স্টোইনিস না থাকলে লড়াই করার মতো জায়গা তৈরি করতে পারত না লখনউ। ৪৩ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। গুজরাতের রশিদ খানদের বিরুদ্ধে তাঁকেই একটু হাত খুলতে দেখা গেল। ইনিংসের শেষ দিকে আয়ুশ বাদোনি (১১ বলে ২০) এবং নিকোলাস পুরান (২২ বলে ৩২) কিছুটা রান করেন। তাঁদের জন্যই দেড়শ রানের গণ্ডি পার করে লখনউ।
গুজরাতের হয়ে দু'টি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব এবং দর্শন নলকন্ডে। একটি উইকেট নেন রশিদ। আফগানিস্তানের আরেক স্পিনার নুর আহমেদ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন। বেশি রান দেননি উমেশরাও। এর ফলেই লখনউকে অল্প রানে আটকে রাখে গুজরাত।