আয়ুষ বাদোনি (বাঁ দিকে) এবং আর্শাদ খান। ছবি: আইপিএল
আগে ব্যাট করতে নেমে একশো রানের ভিতরে সাত উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে লখনউ সুপার জায়ান্টকে টেনে তুললেন আয়ুষ বাদোনি এবং আর্শাদ খান। তরুণ ক্রিকেটার আয়ুষ এ বারের মরসুমে খুব একটা রান পাচ্ছিলেন না। দরকারের সময় কাজে এল তাঁর ব্যাটিং। ৫টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে ৩৫ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। আর্শাদ খানের (অপরাজিত ২০) সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৭৩ রানের জুটি বেঁধে লখনউয়ের লজ্জা বাঁচালেন তিনি। লখনউ তুলল ১৬৭/৭। জিততে গেলে ঋষভ পন্থদের দরকার ১৬৮। দিল্লির কুলদীপ যাদব ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
লখনউ শুরুটা ভালই করেছিল। প্রথম বলেই চার মারেন কুইন্টন ডি’কক। সেই ওভারে ওঠে ১০ রান। পাওয়ার প্লে-তে ঠিক যে ভাবে শুরু করা দরকার, সে ভাবেই খেলছিলেন ডি’কক। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ একই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। তৃতীয় ওভারেই খলিল আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন। সেই যে লখনউয়ের উইকেট পড়ল, এর পর একে একে ব্যাটারেরা এলেন এবং গেলেন।
দেবদত্ত পাড়িক্কল (৩) এই ম্যাচেও ফর্মে ফিরতে পারলেন না। ব্যর্থ মার্কাস স্টোইনিস (৮), নিকোলাস পুরান (০), দীপক হুডা (১০), ক্রুণাল পাণ্ড্যেরাও (৩)। কুলদীপের বলের জবাবই খুঁজে পাননি তাঁরা। এমনিতেই লখনউয়ের পিচ বেশ মন্থর বলে পরিচিত। স্পিনারদের সাহায্য করে। গত বিশ্বকাপেও এ জিনিস দেখা গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার যে পিচে খেলা হয়েছে সেখানে রান করা মোটেই সহজ ছিল না। একমাত্র লড়াই করলেন কেএল রাহুল। ৫টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে ২২ বলে ৩৯ করেন।
আলাদা করে প্রশংসা প্রাপ্য বাদোনির। তিনি যে সময়ে ব্যাট করতে এসেছিলেন, তখন ছ’উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে লখনউ। কিছু ক্ষণ পরে ক্রুণাল ফেরায় সাত উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে আর্শাদ খানকে নিয়ে একা লড়াই করলেন। ১৮তম ওভারে আর্শাদের একটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেন পৃথ্বী শ। শেষ পর্যন্ত অর্ধশতরান করে অপরাজিত থাকলেন বাদোনি।
ভাল বল করলেন কুলদীপ। গত ২৮ মার্চ রাজস্থানের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। চোটের জন্য বেশ কয়েকটি ম্যাচে তাঁকে পায়নি দিল্লি। দলে ফিরেই অবদান রাখলেন বাঁ হাতি চায়নাম্যান স্পিনার। একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দলে ঢোকার দাবিও জানিয়ে রাখলেন।