দৌড়: ম্যাচ শেষ। শুরু শাহরুখ-আব্রামের খেলা। ছবি: সুমন বল্লভ
ইডেনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে গেলেও একেবারেই ভেঙে পড়ছেন না কিংগ খান। বরাবর বলিউডের শহরের বিরুদ্ধে জিততে চেয়েছেন শাহরুখ। কিন্তু শনিবারের ইডেনে একমাত্র ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি সত্ত্বেও হেরে গেল কেকেআর।
তাতে দমে যাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই বলিউডের বাদশাহের মধ্যে। ম্যাচের পরে গোটা ইডেন ছুটে বেড়ালেন পুত্র আব্রামকে নিয়ে। আর তার পর ইডেন ছেড়ে বেরনোর সময় বলে গেলেন, ‘‘আমরা প্রথম দুইয়ের মধ্যে থাকতে পারলাম না ঠিকই। কিন্তু প্লে-অফে তো যাচ্ছিই। আমাদের তিনটে ম্যাচ জিততে হবে, এই যা।’’ এর পরেই ‘চক দে ইন্ডিয়া’র হার-না-মানা কোচ কবীর খানের সুরেই যেন বলে দিলেন, ‘‘জীবনে এত ম্যাচ জিতেছি আমরা। তিনটে জিততে পারব না! নিশ্চয়ই পারব।’’
তবে শাহরুখের দুঃখ হচ্ছে যে, প্লে-অফ কলকাতায় হচ্ছে না। ‘‘ এ বার আমি এখানে আসতে পারিনি। কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু ইডেনের মধ্যে এবং বাইরে এত লোক আমাদের দু’হাত ভরে ভালবাসা দিয়েছে। আমরা সেটার মর্যাদা দিতে চাই ট্রফি নিয়ে ফিরে এসে।’’
এর আগে আইপিএল জিতে ইডেনে পুরো দল নিয়ে বিজয়োৎসব করে গিয়েছেন শাহরুখ। এ বারও জিতলে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন। আবেগপ্রবণ ভাবে বললেন, ‘‘আমি কেকেআর ফ্যামিলির পক্ষ থেকে একটা কথা বলতে চাই। জুহির (চাওলা) পক্ষ থেকে, জয়ের (মেটা) পক্ষ থেকে। কলকাতার এই ভালবাসাই আমাদের টিমকে দশ বছর ধরে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।’’
আইপিএলের দশ বছর হয়ে গেল। সামনের বার নতুন করে সব কিছুরই নিলাম হবে। তিনি কি কেকেআরের সঙ্গেই থাকবেন? ইডেন থেকে বেরনোর সময় এমন প্রশ্ন শুনে শাহরুখের চটজলদি জবাব, ‘‘এখানেই থাকব তো। আর কোথায় যাব!’’ তার পরেই ফের নাইটদের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘আমরা যে ক’টা ম্যাচ হেরেছি, খুব ক্লোজ হেরেছি। খুব হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হয়েছে সব ক’টাই। আমরা আগেও ভাল করব। আমাদের টিম ভাল খেলবে।’’
কলকাতায় একেবারে শেষ ম্যাচে এলেন তিনি। প্লে-অফে কি যাবেন? জিজ্ঞেস করায় ফের তাঁর মুখে শোনা গেল কলকাতার বন্দনা। ‘‘আমি কলকাতাতেই সবচেয়ে বেশি করে আসতে চেয়েছি। কিন্তু কাজ থাকায় পারিনি এ বার। কিন্তু এটা কলকাতায় শেষ ম্যাচ ছিল। মিস করা যেতই না।’’ আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, তিনি কলকাতা টিমেরই বিড করবেন তো? শাহরুখের জবাব, ‘‘আমি কলকাতার। আগামী দশ বছর, কুড়ি বছর আমি এখানকারই। বিডের সঙ্গে আমার কোনও লেনদেন নেই। আমরা পার্পল। আমরা কেকেআর।’’ তার পর যোগ করলেন, ‘‘ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্ভবত পরিবর্তন ঘটবে। বিডিং হবে অন্য ব্যাপারগুলো নিয়ে। আমাদের সঙ্গে কী আছে। আমরা কেকেআর!’’
হার কে জিতনেওয়ালো কো বাজিগর কহতে হ্যায়! তাঁর ফিল্মেরই তো বিখ্যাত সংলাপ!