ভোর পর্যন্ত পার্টি, কাটা হল আরসিবি কেক

‘চার বাজ গায়ে লেকিন পার্টি অভি বাকি হ্যায়।’ কলকাতা নাইট রাইডার্সের আমেজটা যেন ঠিক এ রকম। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারানোর পরে নাইট শিবিরে কেটেছে টেনশনের চোরাস্রোত।

Advertisement

সোহম দে

পুণে শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫৪
Share:

‘চার বাজ গায়ে লেকিন পার্টি অভি বাকি হ্যায়।’

Advertisement

কলকাতা নাইট রাইডার্সের আমেজটা যেন ঠিক এ রকম। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারানোর পরে নাইট শিবিরে কেটেছে টেনশনের চোরাস্রোত। ইডেনের ঐতিহাসিক রাত যেন আবার নতুন প্রাণ দিয়েছে নাইটদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জয়ের অক্সিজেনই নাইটদের হয়তো দ্রুত প্লে-অফে পৌঁছতে সাহায্য করবে। বিরাট কোহালি, ক্রিস গেল ও এবি ডিভিলিয়ার্সের বিরুদ্ধে জয়ের পর তাই তো কেক কাটা, শ্যাম্পেন স্নান আর পার্টিতে মজে ছিল নাইটরা।

নাইট শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল ইডেনে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর থেকেই শুরু হয় উৎসব। হাততালিতে ক্রিস ওকস, নেথান কুল্টার নাইলদের স্বাগত জানানো হয়। স্মরণীয় জয়ের কারিগর তিন পেসারের জন্য তৈরি করা হয় বিশেষ চকোলেট কেক। টিম হোটেলে পৌঁছে যে কেক কাটেন গম্ভীররা। নাইটদের জন্য তৈরি বিশেষ কেকের উপর লেখা ছিল, ‘প্লে বোল্ড’। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সেই চেনা স্লোগানই একটু পাল্টে দেওয়া। ‘বোল্ড’ কথার অর্থ সাহসী। কিন্তু নাইটদের কেকের ‘বোল্ড’ শব্দটার বানান পাল্টে দেওয়া হয়। যোগ করা হয় ডব্লিউ ও ই। ইঙ্গিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, বোলারদের জন্যই এই জয় সম্ভব হল।

Advertisement

কেক কাটার পর শ্যাম্পেনও খোলা হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ড্যারেন ব্র্যাভো অভিনব কয়েকটা নাচের স্টেপও দেখান। মাঠে ফিল্ডিং সাজানোর দায়িত্বের মতো নাইট পার্টিতে বাকিদের মুখে কেকে মাখানোর দায়িত্বটা নেন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। চোটের জন্য এই জয়ের অংশ হতে পারেননি ক্রিস লিন। তাতে কী? নাইটদের উৎসবে তিনিও ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। শ্যাম্পেনের বোতল খুলে স্নান করান বাকিদের। ভোর পাঁচটা অবধি চলতে থাকে নাইটদের পার্টি।

আরও পড়ুন: ইডেন পিচের গতিই চমকে দিয়েছিল ডিভিলিয়ার্সদের

কুল্টার নাইলের বলেই তো শুরু হয়েছিল বিরাট-বিপর্যয়। ক্যাপ্টেন কোহালিকে শূন্য রানে ডাগআউটে ফিরিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হওয়া কুল্টার নাইল নাইটদের তৈরি এক বিশেষ ভিডিওতে বলে দিলেন, ‘‘আমি হারা পছন্দ করি না। আমি সব সময় চাই নিজের সেরাটা দিতে। আরসিবি-র বিরুদ্ধেও সেটাই করেছি।’’ ছোট স্কোর রক্ষা করার জন্যই এত আক্রমণাত্মক বোলিং করার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছিল কেকেআর, বলে দিচ্ছেন অস্ট্রেলীয় পেসার। ‘‘টি-টোয়েন্টিতে কম রান ডিফেন্ড করতে হলে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বল করতে হয়। আমি সেটাই করেছি। প্রথম ছ’ওভারের মধ্যে আমাদের উইকেট তুলতেই হতো,’’ বলছেন কোল্টার নাইল। ক্রিস ওক্‌স আবার বলছেন, ‘‘ভাবতেই পারিনি আমরা জিততে পারব। এই ম্যাচটা আমার কেরিয়ারের স্মরণীয় জয়ের মধ্যে একটা হয়ে রইল।’’

সোমবার সন্ধে সাতটার ফ্লাইটে পুণে রওনা হয়ে গেল নাইট রাইডার্স। আরসিবিকে হারানোর হ্যাংওভার ছেড়ে দ্রুত বেরোতে হবে, পার্টি আর উৎসবের মধ্যেও এমন কথাও বলা হল কেকেআর শিবিরে। বুধবার পুণের মাঠে যে আর এক কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে। বিরাট-যুদ্ধের পরে এ বার সামনে যে বিশ্বের সেরা ফিনিশার! ধোনি-যুদ্ধের ধ্বনিও তাই এসে পড়েছে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement