শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
আইপিএল ফাইনালের আগে সাংবাদিক বৈঠকে বসেছিলেন শ্রেয়স আয়ার। কিন্তু সেই বৈঠক থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা এবং নির্বাচকদের এক হাত নিলেন তিনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক নাম না করে আঙুল তুললেন তাঁদের দিকে। বুঝিয়ে দিলেন শ্রেয়সের কথা না শুনে তাঁকে চোট নিয়ে খেলতে বাধ্য করা হয়েছে।
বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল শ্রেয়সকে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছিলেন না বলে তাঁকে বাদ দেওয়া হয় বার্ষিক চুক্তি থেকে। সেই সময় রঞ্জি চলছিল। কিন্তু পিঠে ব্যথা রয়েছে বলে খেলতে চাইছিলেন না শ্রেয়স। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি সেই সময় জানিয়েছিল যে শ্রেয়স সম্পূর্ণ সুস্থ। কিন্তু এত দিন পর শ্রেয়সের দাবি, তাঁর চোটের কথা কেউ মানতেই চাননি। ফলে চোট থাকলেও রঞ্জিতে খেলেছিলেন তিনি।
শনিবার শ্রেয়সকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিশ্বকাপের পর থেকে পিঠের সমস্যা নিয়ে তাঁর ভোগান্তির বিষয়ে। তখন শ্রেয়স বলেন, “বিশ্বকাপের পর আমার সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু সেই সমস্যা হচ্ছিল দীর্ঘ ফরম্যাটে খেলার সময়। কিন্তু আমি সেই সমস্যার কথা যখন বলেছি, কেউ মানতে চায়নি।”
শ্রেয়স আরও বলেন, “লড়াইটা আমার নিজের সঙ্গেও। আইপিএল যখন এল আমি চাইছিলাম নিজের সেরাটা দিতে। সব পরিকল্পনা ছিল সেই নিয়েই। নিজেদের সেরাটা বার করে আনাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। সেটা করতে পারলেই আমরা ভাল জায়গায় থাকব বলে বিশ্বাস ছিল, এখন সেটাই আছি।”
পিঠের চোট সারিয়ে এশিয়া কাপের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন শ্রেয়স। এক দিনের বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন। এই বছর শুরুর দিকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্টের দলে রাখা হয়েছিল শ্রেয়সকে। কিন্তু পরের তিনটি টেস্টে তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে মনে করা হয়েছিল চোটের কারণে শ্রেয়সকে দলে নেওয়া হয়নি। কিন্তু তা নয়। দল থেকে বাদ পড়ে শ্রেয়স রঞ্জিও খেলেননি। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থাকে চোটের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বোর্ডের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন যে, শ্রেয়সের কোনও চোট নেই।
অভিযোগ উঠেছিল, কেকেআরের ক্যাম্পে গেলেও রঞ্জি খেলেননি শ্রেয়স। শেষ পর্যন্ত রঞ্জিতে ফিরেছিলেন তিনি। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে খেলেছিলেন। যদিও বোর্ডের চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া তাঁকে।