চার উইকেট নেওয়া মুম্বইয়ের কর্ণ শর্মা। ছবি: পিটিআই।
কলকাতা ১০৭/১০ (১৮.৫/২০ ওভার)
মুম্বই ১১১/৪ (১৪.৩/২০ ওভার)
অসহায় আত্মসমর্পণ কলকাতা নাইট রাইডার্সের। সহজ জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ৩৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পুণের মুখোমুখি রোহিতের মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
যদিও চিন্নাস্বামী কলকাতার পয়া মাঠ। এলিমিনেশন পর্বে যে ভাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইংয়ে জায়গা করে নিয়েছিল কলকাতা তা ভাগ্য সহায় না হলে সম্ভব ছিল না। বেঙ্গালুরুর বৃষ্টিতে প্রায় ভেস্তে যেতে বসা ম্যাচের মীমাংসা হয়েছিল ৫-৫ ওভারে। যদি বৃষ্টি না থামত তা হলে ছিটকে যেতে হত কলকাতাকেই। সেখান থেকে হায়দরাবাদকে হারিয়ে কোয়ালিফাইংয়ে জায়গা করে নেওয়াটা সহজ ছিল না। মধ্য রাতে খেলা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু পয়া মাঠেও শেষরক্ষা হল না।
আরও খবর: ফাইনালের লক্ষে মুখোমুখি কলকাতা-মুম্বই
টস জিতে কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শুরু থেকেই ধাক্কা খেতে শুরু করে কলকাতার ব্যাটিং। মুম্বই বোলিংয়ের কাছে রীতিমতো ধরাশায়ী কলকাতা। ওপেন করতে এসে মাত্র ৪ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান ক্রিস লিন। আর এক ওপেনার সুনীল নারিনও ভরসা দিতে পারেনি কলকাতা ব্যাটিংকে। ১০ বলে ১০ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান তিনি।তিন নম্বরে নেমে অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর ফেরেন ১২ রানে। রবিন উথাপ্পাও ১ রানে ফেরেন। এর পর কেকেআর-এর হাল ধরতে একটু লড়তে দেখা যায় ইশাঙ্ক জাগ্গিকে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত সূর্যকুমার যাদবের। গ্র্যান্ডহোম কোনও রান না করেই ফেরেন প্যাভেলিয়নে। এর পর পীযূষ চাওলার সংযোজন ২, কুল্টার নাইল ৬ রান করে আউট হন।
মুম্বইয়ের হয়ে বল হাতে বাজিমাত কর্ণ শর্মা ও যশপ্রীত বুমরাহর। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন কর্ণ শর্মা। বুমরাহ ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। একটি মেডেন। জোড়া উইকেট নেন মিচেল জনসন। মালিঙ্গা অঙ্কিত রাজপুতকে ফেরাতেই শেষ হয়ে যায় কেকেআর-এর ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে এসে ১৪.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ব্যাট হাতে শুরুটা তেমন ভাল করতে পারেনি মুম্বই। দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স ৩ ও পার্থিব পটেল ১৪ রান করেই ফেরেন প্যাভেলিয়নে। তিন নম্বরে নেমে ব্যর্থ অম্বাতি রায়াডু। মাত্র করেন ৬ রান। এর পর মুম্বই ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতা মাঠে নামেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (২৬) ও ক্রুনাল পাণ্ড্য (৪৫-অপরাজিত)। এই দু’জনের ব্যাটেই জয় লেখা হয়ে যায় মুম্বইয়ের। কলকাতার হয়ে জোড়া উইকেট নেন পীযূষ চাওলা। একটি করে উইকেট উমেশ যাদব ও কুল্টার নাইলের।