উইকেটের উচ্ছ্বাস কেকেআর শিবিরে। ছবি: পিটিআই।
বেঙ্গালুরু ১৫৮/৬ (২০ ওভার)
কলকাতা ১৫৯/৪ (১৫.১ ওভার)
দুরন্ত ব্যাটিং। বেঙ্গালুরুতে গিয়েই বিরাটদের হারিয়ে এলেন গম্ভীররা।
না, বেঙ্গালুরুর আর হল না। যেমন শুরু তেমনই শেষ। চূড়ান্ত ফ্লপ দলের তিন সেরা ব্যাটসম্যান। সে ক্রিস গেইল হোক বা বিরাট কোহালি বা এবি ডি ভিলিয়ার্স। ব্যাট হাতে এই মরসুমে তিন মূর্তির জঘন্য পারফর্ম্যান্সের জন্য ডুবল বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। বরং এদিন দলকে ভরসা দিল মনদীপ সিংহ ও ত্রাভিস হেডের ব্যাট। শেষ বেলায় এটাই যা প্রাপ্তি টিম বেঙ্গালুরুর। রবিবার ঘরের মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করারই সুযোগ এসেছিল বিরাট কোহালিদের সামনে। ওপেন করতে নেমে এক বল খেলে কোনও রান না করেই প্যাভেলিয়নে ফেরেন ক্রিস গেইল। কিন্তু তাঁর আউট হওয়া প্রভাব ফেলতে পারেনি আর এক ওপেনার মনদীপ সিংহর উপর। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৫২ রান। হাঁকান চারটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি। তাঁকে সঙ্গ দিতে নেমে ৫ রান করে ফেরেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। একই অবস্থা ডিভিলিয়ার্সেরও। তাঁকে ব্যাট থেকে আসে ১০ রান। এর পর মনদীপের সঙ্গে বেঙ্গালুরু ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব তুলে নেন ত্রাভিস হেড। ৪৭ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৫টি ওভার বাউন্ডারি ও ৩টি বাউন্ডারি। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বেঙ্গালুরুর ইনিংস শেষ হয় ১৫৮ রানে।
আরও খবর: চোটের জন্য মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলতে পারছেন না নেহরা
কলকাতার হয়ে তিনটি উইকটে নেন উমেশ যাদব। জোড়া উইকেট সুনীল নারিনের। একটি উইকেট ক্রিস ওকসের। জবাবের ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ক্রিস লিন ও সুনীল নারিন। এদিন লিনের জন্য ওপেনিংয়ে নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন কেকেআর অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। শেষ পর্যন্ত নামলেন চার নম্বরে। তার আগে জয়ের রাস্তা তৈরি করে ফেলেছিলেন দুই ওপেনার ক্রিস লিন ও সুনীল নারিন। এই আইপিএল-এর দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরিটিও এই ম্যাচে সেরে ফেললেন নারিন। ১৫ বলে করলেন ৫০ রান। যখন থামলেন তখন ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারিসহ তাঁর নামের পাশে লেখা হয়ে গিয়েছে ১৭ বলে ৫৪ রান। লিনের রান ২২ বলে ৫০। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন গ্র্যান্ডহোম। গম্ভীর আউট হন ১৪ রান করে। পরে নেমে মণীশ পাণ্ড্য ও ইউসুফ পাঠানকে কোনও কাজই করতে হয়নি। ১৫.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কলকাতা। বেঙ্গালুরুর হয়ে জোড়া উইকেট নেন পবন নেগী। একটি করে উইকেট অনিকেত চৌধুরী ও যুজবেন্দ্র চাহাল।