গুজরাত টাইটান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। ছবি: আইপিএল।
সেই আমদাবাদ। ১৬তম আইপিএল শুরু হয়েছিল এই মাঠেই। করোনা অতিমারি পার করে ভারতের বিভিন্ন মাঠে এ বার আইপিএল আয়োজন করা হয়। সেই আইপিএল শুরু হয়েছিল ৩১ মার্চ। ৫৮ দিন পর আবার সেই ম্যাচটাই খেলা হবে। আইপিএলের শুরুর ম্যাচটাই এখন মনে হচ্ছে ফাইনাল। সেই ম্যাচের মতো এ বারও মুখোমুখি গুজরাত টাইটান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। এ বারের আইপিএলে তৃতীয় বার।
আমদাবাদের মাঠে অরিজিৎ সিংহের গান দিয়ে এ বারের আইপিএল শুরু হয়েছিল। গুজরাতি গান দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন অরিজিৎ। তাঁর একের পর এক হিট গানে মুগ্ধ করেছিলেন মাঠ ভর্তি দর্শককে। তমন্না ভাটিয়া এবং রশ্মিকা মন্দনার নাচে জমজমাট অনুষ্ঠান দেখেছিলেন সকলে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর যে দুই অধিনায়ক টস করতে নেমেছিলেন, রবিবার আবার তাঁদেরই দেখা যাবে মাঠে। আরও এক বার টস করবেন হার্দিক পাণ্ড্য এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। মাঝে ৭২টি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে।
প্রথম কোয়ালিফায়ারেও মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই এবং গুজরাত। এ বারের আইপিএলে প্রথম দু’বারের সাক্ষাতে ফল সমান সমান। প্রথম ম্যাচে গুজরাত জিতেছিল ৫ উইকেটে। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই তুলেছিল ১৭৮ রান। রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৫০ বলে ৯২ রান করেছিলেন। তিনি ছাড়া বাকি ব্যাটাররা কেউ সে ভাবে রান পাননি। গুজরাতের হয়ে সেই ম্যাচে রান করেছিলেন শুভমন গিল। ৩৬ বলে ৬৩ রান করেছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচ থেকে ছন্দে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তরুণ ব্যাটার। আইপিএলের ফাইনাল খেলতে নামার আগে তাঁর মাথাতেই থাকবে কমলা টুপি। সব থেকে বেশি রান রয়েছে তাঁরই ঝুলিতে। বেগনি টুপি রয়েছে মহম্মদ শামির দখলে। দু’জনেই গুজরাত দলের।
রবিবার ট্রফির লড়াইয়ে নামবেন হার্দিক এবং ধোনি। ছবি: পিটিআই।
দ্বিতীয় বার চেন্নাই এবং গুজরাতের দেখা হয়েছিল কোয়ালিফায়ারে। চেন্নাইয়ে সেই ম্যাচে বদলা নিয়েছিলেন ধোনিরা। ১৫ রানে জিতেছিলেন তাঁরা। প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই তুলেছিল ১৭২ রান। রুতুরাজ সেই ম্যাচে ৬০ রান করেছিলেন। ডেভন কনওয়ে করেছিলেন ৪০ রান। চেন্নাইয়ের তোলা ১৭২ রানের জবাবে গুজরাত শেষ হয়ে গিয়েছিল ১৫৭ রানে। শুভমন ৪২ রান করেছিলেন। ৩০ রান করেছিলেন রশিদ খান। কিন্তু মাথিশা পাথিরানাদের সামলাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন গুজরাতের ব্যাটাররা। সরাসরি ফাইনালে ওঠা হয়নি তাই। যদিও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বইকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গিয়েছেন হার্দিকরা।
আইপিএলের উদ্বোধনী মঞ্চে ট্রফির দু’পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ধোনি এবং হার্দিক। সেই ছবিটাই ফাইনালের ছবি হয়ে গেল। শুরু থেকে শেষ শুধুই গুজরাত এবং চেন্নাই।