ক্রিকেট খেলার জন্য রাহুলের সতীর্থ পরীক্ষাই দেননি। — ফাইল চিত্র
ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছেন। আইপিএলে অন্যতম সফল বোলার। আইপিএল খেলার এতটাই নেশা ছিল যে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাই দেননি। পরের বছর কোনও রকমে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেন। বাবার প্রবল বিরোধিতার সামনে পড়েও পিছু হটেননি। নিজের ক্রিকেটজীবনের এমন কিছু তথ্যই তুলে আনলেন রবি বিষ্ণোই। লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্রিকেটার এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।
এক পডকাস্টে রবি বলেছেন, “দ্বাদশ শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষা দিতে যাইনি। তখন রাজস্থান রয়্যালসের নেট বোলার ছিলাম। বাবা কড়া ভাবে আমাকে বলে দিয়েছিলেন ফিরে যেতে। কিন্তু কোচ বলেছিলেন আমাকে থাকতেই হবে। আমি কোচের কথা শুনে থেকে যাই। সে বছর বোর্ডের পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। পরের বছর পরীক্ষা দিয়ে পাশ করি।”
বাবাকে রাজি করানো কতটা কঠিন ছিল, সেটাই উঠে এসেছে কেএল রাহুলের দলের স্পিনারের কথায়। রবির বাবা পেশায় শিক্ষক ছিলেন। পড়াশুনো ছেড়ে ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছে প্রথমে মানতে পারেননি। রবি বলেছেন, “১০ বছর বয়সে একটা ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হই। ১৫ বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ক্রিকেটের জন্য সময়ই পাচ্ছিলাম না তখন। তবে বাবা-মাকে রাজি করানো কঠিন কাজ ছিল। আমার প্রতিভা দেখে কোচেরাই বাবা-মাকে ক্রিকেট খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে রাজি করান।”