কেন তিনি নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন বিরাট। বলেছেন, ‘‘যদি আমার মনে হয়, সব কিছু ঠিক মতো উপভোগ করতে পারছি না, ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সেই মজাটা হারিয়ে যাচ্ছে, তখন এ রকম সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। বিশেষ করে আমি যেখানে জানি, এমন ক্রিকেটার আছে, যারা দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, তখন এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলতেই হয়।’’
আরসিবির জার্সি গায়ো বিরাট কোহলী। ফাইল চিত্র।
নেতৃত্বের মুকুট আর এক জনের হাতে তুলে দিয়ে তিনি এখন অনেক ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। আইপিএল শুরু হওয়ার আগে এ কথা জানালেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
আজ, শনিবার, পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নামছে আরসিবি। তার আগে বিরাট বলেছেন, ‘‘এটা একটা ভাল পরিবর্তন হয়েছে। আমি এখন অনেক হাল্কা মেজাজে আছি।’’ এও বলেছেন, ‘‘অনুশীলন করতে এসে একটা উত্তেজনা বোধ করছি। নিজের দক্ষতায় শান দেওয়ার উপরে মনঃসংযোগ করতে পারছি। পাশাপাশি এক জন ব্যাটার হিসেবে কী ভাবে আরও উন্নতি করতে হবে, সে দিকেও নজর দিচ্ছি।’’
গত বছর প্রথমে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছেড়ে দেন বিরাট। তার পরে নিজেকে সরিয়ে নেন আরসিবি অধিনায়কের পদ থেকেও। কোনও ফর্ম্যাটেই জাতীয় দলের নেতৃত্বে তিনি আর নেই। বিরাটের কথায়, ‘‘আগে যে রকম নতুন একটা মরসুম শুরুর আগে উত্তেজনা বোধ করতাম, এখনও সে রকম হচ্ছে। এই প্রস্তুতি সেশনগুলো উপভোগ করতে পারছি।’’ যোগ করেন, ‘‘কিন্তু যখন অন্য দায়িত্ব এসে পড়ে, তখন এই অনুভূতিগুলো পিছনে চলে যায়। দীর্ঘদিন ধরে যদি আপনার মন একটা দিকেই থাকে, তা হলে অনুশীলনে আসার মজা উপভোগ করা যায় না।’’
নিজের ফেসবুক-টুইটারেও আরসিবি জার্সিতে অনুশীলনের ছবি তুলে দিয়ে বিরাট মন্তব্য করেছেন, ‘আইপিএল এসে গিয়েছে। সেই উত্তেজনাটা অনুভব করতে পারছি।’ বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার মন্তব্য করেছেন, ‘‘আমার কাছে ক্রিকেট হল এই সব অনুভূতিকে উপভোগ করা। আমি সব সময় চেয়েছি, এই অনুভূতিগুলো যেন আমার মধ্যে বেঁচে থাকে। আর আমি প্র্যাক্টিসে এসে বল মারার আনন্দটা পেতে পারি।’’
নেতৃত্ব ছাড়ার পরে কি আপনার বয়স দশ বছর কমে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে? সরাসরি কিছু না বলে বিরাট মনে করিয়ে দিয়েছেন, দলের এক জন সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবেও অবদান রেখে যাওয়াটা কত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, ‘‘অনেকেই আলাদা করে দায়িত্ববোধের কথা বলে থাকেন। কিন্তু বুঝতে হবে, এক জন সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবেও দলের প্রতি সেই দায়িত্ববোধটা থাকতে হবে। নিজের সেরাটা দিতে হবে। না হলে খেলার কোনও মানে হয় না।’’ তিনি এও বলেন, ‘‘আপনি এক জন অধিনায়ক হিসেবে হয়তো দলটাকে চ্যাম্পিয়ন করার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দলের সাফল্যে অবদান রাখাটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’’
কেন তিনি নেতৃত্ব ছেড়ে দিয়েছেন, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন বিরাট। বলেছেন, ‘‘যদি আমার মনে হয়, সব কিছু ঠিক মতো উপভোগ করতে পারছি না, ক্রিকেট খেলতে গিয়ে সেই মজাটা হারিয়ে যাচ্ছে, তখন এ রকম সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। বিশেষ করে আমি যেখানে জানি, এমন ক্রিকেটার আছে, যারা দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে, তখন এই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলতেই হয়।’’