প্লে-অফের লড়াইয়ে একাধিক দল।
আইপিএলের লিগ পর্বে বেশির ভাগ দলেরই আর তিনটি করে খেলা বাকি। কিছু দলের বাকি রয়েছে দু’টি করে ম্যাচ। এমন অবস্থায় লড়াই প্রথম চারে থাকার। কারও সামনে অঙ্কের জটিল হিসেব, কারও কাছে প্লে-অফ খেলা এখন সময়ের অপেক্ষা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এক মাত্র দল যাদের এ বার প্লে-অফে খেলা সম্ভব নয়। দেখে নেওয়া যাক দলগুলি প্লে-অফের দৌড়ে কোন জায়গায় রয়েছে।
লখনউ সুপার জায়ান্টস
লোকেশ রাহুলের দল ১১টি ম্যাচের মধ্যে আটটিতে জিতেছে। তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল লখনউয়ের। তাদের ম্যাচ বাকি গুজরাত টাইটান্স (মঙ্গলবার), রাজস্থান রয়্যালস (১৫ মে) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের (১৮ মে) বিরুদ্ধে। রাহুলদের লক্ষ্য থাকবে প্রথম দুইয়ের মধ্যে থাকা। দুইয়ের মধ্যে থাকলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পাবে লখনউ। সেখানে জিতলে সোজাসুজি ফাইনাল খেলতে পারবে তারা।
গুজরাত টাইটান্স
লখনউ আর গুজরাত, এ বারের আইপিএলের দুই নতুন দল এই মুহূর্তে একই সংখ্যক ম্যাচ খেলে একই পয়েন্ট পেয়েছে। নেট রানরেটের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে হার্দিক পাণ্ড্যর গুজরাত। প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তা খুব সহজ তাদেরও। একটি ম্যাচ জিতলেই নিশ্চিত প্লে-অফের জায়গা। তাদের খেলা বাকি লখনউ (মঙ্গলবার), চেন্নাই (১৫ মে) এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে (১৯ মে)। এই তিন ম্যাচের মধ্যে একটি জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত গুজরাতের।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজস্থান রয়্যালস
এ বারের আইপিএলে ছন্দে রয়েছে সঞ্জু স্যামসনের দল। জস বাটলারের দাপটে ঘুম ছুটেছে বিপক্ষের বোলারদের। ইতিমধ্যেই ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ফেলেছে তারা। রাজস্থানের ম্যাচ বাকি দিল্লি (বুধবার), লখনউ (১৫ মে) এবং চেন্নাইয়ের (২০ মে) বিরুদ্ধে। এই তিন ম্যাচের মধ্যে একটি জিতলেই প্লে-অফে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। তাদের নেট রানরেট (০.৩২৬) গুজরাতের থেকে ভাল হওয়ায় সুযোগ থাকছে প্রথম দুইয়ে ঢুকে পড়ারও।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
আরসিবি-র ম্যাচ বাকি দু’টি। সেই দু’টি ম্যাচ জিতলে সহজ হবে প্লে-অফের রাস্তা। ১২ ম্যাচে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। নেট রানরেট (-০.১১৫) নিয়ে চিন্তা রয়েছে বিরাট কোহলীর দলের। শেষ দুই ম্যাচ না জিতলে নেট রানরেট বিপদে ফেলতে পারে তাদের। বাকি দু’টি ম্যাচ পঞ্জাব (১৩ মে) এবং গুজরাতের (১৯ মে) বিরুদ্ধে।
দিল্লি ক্যাপিটলাস
বাকি সব ম্যাচ জিততে হবে ঋষভ পন্থদের। ১১টি ম্যাচ খেলে তাঁদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। বাকি সব ম্যাচ জিতলে ১৬ পয়েন্ট হবে। গুরুত্বপূর্ণ সেই ১৬ পয়েন্টের সঙ্গে উন্নতি করতে হবে নেট রানরেটও (০.১৫০)। যদিও ১০ পয়েন্ট হাতে থাকা বাকি দলগুলির চেয়ে নেট রানরেট ভাল দিল্লির। তাদের ম্যাচ বাকি রাজস্থান (বুধবার), পঞ্জাব (১৬ মে) এবং মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে (২১ মে)। মরণবাঁচন লড়াই পন্থদের সামনেও।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
দিল্লির সঙ্গে প্লে-অফে যাওয়ার লড়াইয়ে রয়েছে হায়দরাবাদও। ১০ পয়েন্ট রয়েছে তাদের ঝুলিতেও। খেলা বাকি কলকাতা (১৪ মে), মুম্বই (১৭ মে) এবং পঞ্জাবের (২২ মে) বিরুদ্ধে। তাদের নেট রানরেট -০.০৩১। বাকি ম্যাচ শুধু জিতলেই হবে না, বড় ব্যবধানে জিততে হবে হায়দরাবাদকে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স
কলকাতার বাকি রয়েছে দু’টি ম্যাচ। প্রতিটি ম্যাচই তাদের কাছে মরণবাঁচন লড়াই। একটি ম্যাচ হারলেই প্লে-অফের আশা শেষ শ্রেয়সদের। ম্যাচ বাকি হায়দরাবাদ (১৪ মে) এবং লখনউয়ের (১৮ মে) বিরুদ্ধে। প্লে-অফে যেতে হলে শুধু নিজেদের ম্যাচ জিতলেই চলবে না কলকাতার, তাকিয়ে থাকতে হবে বাকি দলগুলির ফলাফলের দিকেও। কলকাতার প্রথম লক্ষ্য থাকবে ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করা। তারপর বাকিরা কী করে দেই দিকে নজর দিতে হবে কেকেআর-কে।
পঞ্জাব কিংস
ময়ঙ্ক অগ্রবালের দলেরও সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। ১১টি ম্যাচ খেলেছে তারা। খেলা বাকি বেঙ্গালুরু (১৩ মে), দিল্লি (১৬ মে) এবং হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে (২২ মে)। এই তিনটি ম্যাচ জিততেই হবে পঞ্জাবকে। তার পরেও চিন্তা থাকবে নেট রানরেট (-০.২৩১) নিয়ে। ১০ পয়েন্ট থাকা বাকি দলগুলির মধ্যে সবচেয়ে কম নেট রানরেট তাদেরই। বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিততে হবে পঞ্জাবকে।
চেন্নাই সুপার কিংস
প্লে-অফে যাওয়ার আশা বেঁচে আছে চেন্নাইয়েরও। ধোনির দল খেলেছে ১১টি ম্যাচ। সংগ্রহ করেছে ৮ পয়েন্ট। ১৪ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে চেন্নাই। যদি সেই পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে যাওয়া যায় তবেই লড়াইয়ে আসবে তারা। চেন্নাইয়ের নেট রানরেট ০.০২৮। নিজেদের সব ম্যাচ জিততে হবে ধোনিদের, তার পরেও দেখতে হবে বাকিদের পয়েন্টের অবস্থা।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স
এক মাত্র রোহিত শর্মার দলেরই প্লে-অফে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। মাত্র দু’টি ম্যাচ জিতেছে তারা। বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলেও কোনও ভাবেই প্লে-অফে উঠতে পারবে না তারা। খেলা বাকি চেন্নাই (১২ মে), হায়দরাবাদ (১৭ মে) এবং দিল্লি (২১ মে)।