বিরাট কোহলী। ফাইল ছবি
খেলা শুরু সাড়ে সাতটায়। তাতে কী! ইডেন গার্ডেন্সে যেখানে নামতে চলেছেন বিরাট কোহলী, সেখানে অত দেরি পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায় নাকি! ফলে বুধবার দুপুর থেকেই শহরের কেন্দ্রস্থল কার্যত অবরুদ্ধ। কাতারে কাতারে লোকের অভিমুখ তখন শুধু ইডেনের দিকে। মুখে একটাই ধ্বনি, ‘কোহলী, কোহলী-ই-ই’। ম্যাচ শুরুর অনেকক্ষণ আগেই ইডেন চলে গেল কোহলীর দখলে।
গোষ্ঠ পাল সরণীর পাশ দিয়ে হেঁটে আসছিলেন একদল তরুণ-তরুণী। কপালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর লেখা ব্যান্ডানা বাঁধা। গায়ে আরসিবি-র জার্সি। পিছনে লেখা কোহলীর নাম এবং জার্সি নম্বর। জিজ্ঞাসা করে জানা গেল, তাঁরা এসেছেন সুদূর নদীয়া থেকে। প্রত্যেকই প্রথম বার ইডেনে খেলা দেখতে আসছেন। ফলে উত্তেজনা স্বাভাবিক ভাবেই বেশি। সোনারপুর থেকে আসা আরও একটি দলের দেখা মিলল। দূর থেকে যাঁরা শহরে এসেছেন, তাঁদের অনেকে আবার রাতে এই শহরেই থেকে গিয়েছেন।
ইডেনের বাইরে বেঙ্গালুরুর দর্শকরা। নিজস্ব চিত্র
প্রয়াত অজিদের স্মরণে। নিজস্ব চিত্র
বিকেল যত ঘনিয়ে এল, ইডেনের পশ্চিম কোণে জমতে থাকল। যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল সকালেই, তা ফলে যাবে কিনা সেটা সময়েই বলবে। কিন্তু মানুষের উৎসাহে তাতে ভাটা পড়েনি সেটা ইডেনের উদ্দেশে ধাবমান জনতাকে দেখেই বোঝা গিয়েছে। কোহলী যখন ব্যাট করতে নামলেন তখন ইডেনে হাতেগোনা দর্শক। কিন্তু তাতেই যে চিৎকারটা উঠল, কান পাতা দায়। একই জিনিস দেখা গেল তিনি বেরিয়ে সাজঘরে ঢুকে যাওয়ার সময়েও।
এর মাঝে হাতগোনা লখনউয়ের দর্শকও দেখা গেল। হাজার হোক লখনউয়ের মালিক কলকাতারই শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। যাঁরা লখনউকে সমর্থন করছেন, বেশিরভাগই কেএল রাহুলের ভক্ত। তবে সংখ্যায় তাঁরা কোহলী-সমর্থকদের ধারেকাছে নেই।