স্ত্রী চারুলতার সঙ্গে সঞ্জু। ছবি: টুইটার
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম সংস্করণে ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। তারপর এ বছরই দ্বিতীয় বার ফাইনালে উঠেছে রাজস্থান। অথচ প্রতিযোগিতা শুরুর সময় এই রাজস্থানকেই গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ সম্প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে। রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের স্ত্রী চারুলতা কার্যত এক হাত নিয়েছেন সম্প্রচারকারীদের।
সঞ্জুর নেতৃত্বে জল বাটলার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, যুজবেন্দ্র চহাল-সহ অন্য ক্রিকেটাররা রাজস্থানের এই সাফল্যের কারিগর। প্রতিযোগিতার অন্যতম ধারাবাহিক দলও রাজস্থান। এক ঝাঁক সেরা মানের ক্রিকেটার রয়েছেন দলে। তাও প্রতিযোগিতা শুরুর সময় রাজস্থানকে হিসেবের মধ্যে রাখেনি প্রতিযোগিতার সম্প্রচারকারী সংস্থা। দেওয়া হয়নি কোনও গুরুত্বও। এমনই অভিযোগ চারুলতার।
প্রতিযোগিতা শুরুর সময় সম্প্রচারকারী সংস্থা একটি অ্যানিমেটেড ভিডিয়ো তৈরি করেছিল। যেখানে দেখানো হয়েছিল, এ বারও খেতাবের দাবিদার আইপিএলের সফলতম দু’দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। সামনে বড় করে ছিল রোহিত শর্মা এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কার্টুন। অথচ সেই দু’দলই এ বার সবার পিছনে শেষ করেছে। সম্প্রচারকারী সংস্থার সেই অ্যানিমেটেড ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল প্রতিযোগিতার অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির অধিনায়ক, ক্রিকেটারদের। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই ভিডিয়োয় রাখা হয়নি রাজস্থান রয়্যালসকে। ছিল না সঞ্জুর কার্টুনও। সম্প্রচারকারীদের এই অবজ্ঞাতেই চটেছেন চারুলতা।
এই স্ক্রিন শটই নেট মাধ্যমে দিয়েছেন চারুলতা। ছবি: টুইটার
সেই অ্যানিমেটেড ভিডিয়োর স্ক্রিন শট নিয়ে নেট মাধ্যমে চারুলতা বলেছেন, ‘‘আইপিএলের প্রথম দিন এটা সম্প্রচার করা হয়েছিল। সেখানে গোলাপি জার্সি কেন ছিল না জানতে চাই।’’ বিষয়টি ভাল ভাবে নেননি রাজস্থান ফ্র্যাঞ্চাইজির সমর্থকরাও। চারুলতাকে সমর্থন করেছেন অনেকেই।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।