ছবি: আইপিএল
শেষ তিন বলে তিনটি ছয় মেরে আইপিএলের ফাইনালে গুজরাত টাইটান্স। আমদাবাদের মাঠে ফাইনাল খেলবে গুজরাত। ডেভিড মিলার এবং হার্দিক পাণ্ড্যর ব্যাটেই ফাইনালে উঠল তারা। ৭ উইকেটে রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে দিলেন হার্দিক পাণ্ড্যরা।
টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। শুরুতে যশস্বী জয়সবালকে ফিরিয়ে দিলেও সেই ধাক্কা সামলে দেন সঞ্জু স্যামসন এবং জস বাটলার। ৬৮ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। বড় রানের ভিত গড়ে দেয় তাঁদের ইনিংসটাই। স্যামসন ৪৭ রান করে ফিরে যান। দেবদত্ত পাড়িক্কল করেন ২৮ রান। বাকি রান তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন জস বাটলার। তাঁকে দ্রুত না ফেরাতে পারলে যে কী হতে পারে, তা দেখিয়ে দিলেন ইডেনে।
শিমরন হেটমায়ার, রিয়ান পরাগরা দর্শক আর মঞ্চ মাতালেন বাটলার। ৫৬ বলে ৮৯ রান করে রান আউট হন ইংরেজ ব্যাটার। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ১৮৮ রান তোলে রাজস্থান। ঋদ্ধিমান সাহাদের জিততে হলে করতে হত ১৮৯ রান।
রান তাড়া করতে নেমে শূন্য রানে ফিরে যান ঋদ্ধি। তাঁর ঘরের মাঠের দর্শকদের ব্যাট হাতে নিরাশ করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাথু ওয়েড এবং শুভমন গিল ৭২ রানের জুটি গড়েন। শুভমন ব্যাট করার ইডেন থেকে ‘কেকেআর, কেকেআর’ আওয়াজও শোনা যায়। গত মরসুম পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা শুভমনের কাছেও ইডেন যে ঘরের মাঠই ছিল একসময়। ২১ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। ওয়েডও ৩৫ রান করে আউট হন।
তখনও ম্যাচ জয়ের থেকে অনেকটাই দূরে গুজরাত। কিন্তু হার্দিক পাণ্ড্য এবং ডেভিড মিলারের জুটি জয় এনে দিল তাদের। ৬১ বলে ১০৬ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। হার্দিক করলেন ২৭ বলে ৪০ রান। মিলার ৩৮ বলে ৬৮ রান করেন। তাঁদের অপরাজিত জুটিই জয় এনে দিল। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। মিলার একাই তিনটি ছয় মেরে ম্যাচ জিতিয়ে দেন।