লখনউ সুপার জায়ান্টসের করা ১৯৫ রান তাড়া করতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস। লখনউয়ের হয়ে ব্যাট হাতে ভাল খেললেন দলের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। অর্ধশতরান করলেন দীপক হুডাও। বল হাতে ৪ উইকেট নিলেন তরুণ মহসিন খান।
৪ উইকেট নিলেন মহসিন ছবি: আইপিএল
লড়াই করলেন ঋষভ পন্থ, রভম্যান পাওয়েলরা। কিন্তু লখনউ সুপার জায়ান্টসের করা ১৯৫ রান তাড়া করতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস। লখনউয়ের হয়ে ব্যাট হাতে ভাল খেললেন দলের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। অর্ধশতরান করলেন দীপক হুডাও। বল হাতে ৪ উইকেট নিলেন তরুণ মহসিন খান। দিল্লিকে ৬ রানে হারিয়ে লিগ তালিকায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল লখনউ। প্লে-অফের আরও কাছে পৌঁছে গেলেন রাহুলরা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন লখনউয়ের দুই ওপেনার কুইন্টন ডিকক ও লোকেশ রাহুল। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল ডিকককে। কিন্তু ২৩ রানের মাথায় তাঁকে আউট করে লখনউকে প্রথম ধাক্কা দেন শার্দুল ঠাকুর। প্রথম উইকেট পড়ার পরে রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন দীপক হুডা। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন হুডা। তিনি থাকায় সুবিধা হচ্ছিল রাহুলের। প্রথমে সেট হয়ে তার পর হাত খুলে খেলা শুরু করেন তিনি।
প্রতি ওভারে বড় শট মারছিলেন দুই ব্যাটার। কোনও বোলারকেই রেয়াত করছিলেন না তাঁরা। দু’জনেই অর্ধশতরান করেন। শেষ পর্যন্ত নিজের বলে ক্যাচ ধরে ৫২ রানের মাথায় হুডাকে আউট করে দিল্লিকে ম্যাচে ফেরান শার্দুল। দিল্লির প্রধান অস্ত্র কুলদীপ যাদব খুব একটা ভাল বল করতে পারেননি। তার ফলে বড় রানের দিকে এগচ্ছিল লখনউ।
ওয়াংখেড়েতে ফের এক বার দেখা গেল রাহুল ম্যাজিক। নিজের ছন্দে খেললেন তিনি। ৭৭ রানের মাথায় ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হন রাহুল। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১৯৫ রানে শেষ হয় তাঁদের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি দিল্লির। মাত্র ১৩ রানের মধ্যে আউট হন দলের দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। দু’উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে রান তোলার দায়িত্ব ছিল দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থের উপর। প্রথম বল থেকেই দেখা গেল মারমুখী মেজাজে রয়েছেন পন্থ। একের পর এক বড় শট খেলতে শুরু করেন তিনি। তাঁকে দেখে রানের গতি বাড়ান মিচেল মার্শও। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
৩৭ রানের মাথায় আউট হয়ে যান মার্শ। যদিও পরে রিপ্লে-তে দেখা যায় আউট হননি তিনি। রান পাননি ললিত যাদব। তার পরে পন্থের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন রভম্যান পাওয়েল। তিনিও শুরু থেকে বড় শট খেলা শুরু করেন। ফলে উইকেট পড়লেও রানের গতি কমেনি। ৪৪ রানের মাথায় পন্থকে বোল্ড করে দিল্লিকে বড় ধাক্কা দেন মহসিন খান। পাওয়েলকেও আউট করেন তিনি। দিল্লির শেষ আশা শার্দুলকেও সাজঘরে ফেরান এই বাঁহাতি বোলার। শেষ দিকে অনেক চেষ্টা করেন অক্ষর ও কুলদীপ।কিন্তু তার পরেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি দিল্লি। ৬ রানে হারে তারা।