সোমবারের খেলায় প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা। দুরন্ত বল করেন বুমরা। ৪ ওভার বল করে ১০ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। কামিন্সও এক ওভারেই মুম্বইয়ের ৩ উইকেট নিয়েছেন। এ বারের আইপিএলে প্রথম বার তাঁকে বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে এই ম্যাচেই। নিজের সাফল্য নিয়ে বলার সময়ই কামিন্স কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রতিপক্ষের বুমরাকে।
ছবি: আইপিএল
সাফল্যের জন্য কোনও দলের প্রধান বোলার কৃতিত্ব দিচ্ছেন প্রতিপক্ষ দলের প্রধান বোলারকে, এমন ঘটনা বোধ হয় খুব বেশি দেখা যায় না। কিন্তু আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স-মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের পর তেমনই বললেন প্যাট কামিন্স।
কলকাতার অস্ট্রেলীয় জোরে বোলার তাঁদের সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন মুম্বইয়ের যশপ্রীত বুমরাকে। মজার হলেও এটাই সত্যি। কিন্তু প্রতিপক্ষের প্রধান বোলার কী ভাবে সাফল্যের পথ দেখাতে পারেন প্রতিপক্ষের বোলারদের?
সোমবারের খেলায় প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা। দুরন্ত বল করেন বুমরা। ৪ ওভার বল করে ১০ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। কামিন্সও এক ওভারেই মুম্বইয়ের ৩ উইকেট নিয়েছেন। এ বারের আইপিএলে প্রথম বার তাঁকে বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে এই ম্যাচেই। নিজের সাফল্য নিয়ে বলার সময়ই কামিন্স কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রতিপক্ষের বুমরাকে।
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘বুমরাই আমাদের দেখিয়েছে ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের বাইশ গজে সাফল্য পাওয়ার সঠিক লেংথ কোনটা। অনবদ্য বোলিং করেছে আমাদের বিরুদ্ধে। ওর বল দেখেই আমরা বুঝতে পারি উইকেটের কাছাকাছি বা একটু খাটো লেংথে বল ফেললে ব্যাটারদের পক্ষে খেলা কঠিন হচ্ছে। মাঠটা যথেষ্ট বড়। ঠিক মতো টাইমিং করতে না পারলে ছয় মারা সহজ নয়।’’ নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে কামিন্স বলেছেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম উইকেটের সোজাসুজি এবং একটু খাটো লেংথে বল রাখতে। আমাদের সেই পরিকল্পনা কাজে দিয়েছে।’’
বল হাতে ছন্দে ফেরা নিয়ে কামিন্স বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় আমি যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছি। খারাপ বা ভাল ছন্দ নিয়ে বিশেষ ভাবি না। বিশেষ করে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে। প্রথম চারটে ম্যাচের দিকে ফিরে তাকালে বলতে পারি, আমি সত্যিই ভাল বল করতে পারিনি।’