রাজস্থানের সঙ্গে এ ভাবেই রয়েছেন ওয়ার্ন। ছবি: আইপিএল
প্রথম বার আইপিএলের ফাইনালে উঠেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই সাফল্যের কারিগর ছিলেন প্রয়াত অস্ট্রেলীয় লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। তার পর দীর্ঘ ১৪ বছর পর আবার ফাইনালে উঠল রাজস্থান। এ বারের সাফল্যও সেই ওয়ার্নের ছায়াতেই।
ওয়ার্ন বেঁচে থাকলে নিশ্চিত ভাবেই খুশি হতেন আইপিএলে তাঁর প্রিয় দলের পারফরম্যান্স দেখে। ওয়ার্ন অবশ্য না থেকেও এ বার ছিলেন রাজস্থানের সঙ্গে। গোটা প্রতিযোগিতাতেই প্রথম রয়্যালকে সঙ্গে নিয়ে চলেছে রাজস্থান। তাঁর স্মৃতিকে পাথেয় করেই এগিয়েছে ধাপে ধাপে। ওয়ার্ন ছিলেন না। কিন্তু তাঁর পরামর্শ, শিক্ষা এ সব সঞ্জু স্যামসনদের অনুপ্রাণিত করেছে এ বারের আইপিএলে। সশরীরে না হলেও অশরীরী ওয়ার্ন ছিলেন রাজস্থানের সঙ্গে।
প্রথম রয়্যালকে ট্রফি উৎসর্গ করার মন্ত্র নিয়েই এ বার পথ চলা শুরু করেছিল রাজস্থান। সেই কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে আর এক ধাপ দূরে তারা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারানোর পর রাজস্থান অধিনায়কের গলাতেও শোনা গেল ওয়ার্নের কথা। সঞ্জু বলেছেন, ‘‘২০০৮ সালে তখন আমি কেরলের কোথাও একটা অনূর্ধ্ব ১৬ পর্যায়ের একটা প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলছিলাম। যখন শেন ওয়ার্ন এবং সোহেল তনবীর রাজস্থানকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।’’
প্রতিযোগিতার মাঝে ছন্দ হারানো নিয়ে সঞ্জু বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি সত্যিই কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা আইপিএলে ঠিক ভাবেই ফিরে আসতে পেরেছি। এত বড় একটা প্রতিযোগিতায় চড়াই-উতরাই থাকবেই।’’ এ দিনের জয় সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘উইকেট এবং প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত আমাদের জোরে বোলারদের সাহায্য করেছে। ভাল বাউন্স ছিল। যেটা স্পিনারদের বল মারার ক্ষেত্রে সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু আমাদের জোরে বোলাররা সত্যিই ভাল বল করেছে। দীনেশ কার্তিক এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে দ্রুত আউট করতে পারাও আমাদের কাজ সহজ করেছে।’’
সঞ্জু মেনে নিয়েছেন, টস জিতে তাঁরা বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটের চরিত্র একদম বদলে যায়। বাটলার চলতি আইপিএলে চতুর্থ শতরান করেন এ দিন। তাঁর প্রশংসা করে রাজস্থান অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের দলে জস বাটলার রয়েছে। আরও একটা ম্যাচ রয়েছে। আশা করি সবকিছু ঠিক থাকবে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।